বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বুড়িগঙ্গা দূষণমুক্ত করতে ১০ সেপ্টেম্বর নদী উৎসব

নিজস্ব প্রতিবেদক

বুড়িগঙ্গাকে দূষণমুক্ত করতে শনিবার নদী উৎসব হবে। বুড়িগঙ্গার তীরে অবস্থিত কামরাঙ্গীর চরের মুসলিমবাগ টাওয়ার মাঠ ও থোটা গুদারাঘাটে এ আয়োজন করা হবে। বুড়িগঙ্গা নদী মোর্চা ও বুড়িগঙ্গা নদী কার্নিভাল যৌথভাবে আয়োজন করছে এ ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও কনফোর্ডিয়াম। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন আয়োজকরা। সংবাদ সম্মেলনে আয়োজক কমিটির সদস্যরা বলেন, নদী মানুষের সম্মুখভাগ, কিন্তু মানুষের দ্বারা সংঘটিত বিভিন্ন দূষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে নদী আজ পেছনের অংশে পরিণত হয়েছে। তাই নদী উৎসবের মাধ্যমে নদীতে দূষণবিরোধী কাজ করতে জনগণকে নিরুৎসাহ করা হবে। নদী দূষণ প্রতিরোধে নীতিনির্ধারক, সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, যুবক, তরুণ, গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য এ আয়োজন করা হচ্ছে।

নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার উদ্দেশ্য হচ্ছে নদী দূষণ বিষয়টি যেন মূলধারার নীতিনির্ধারণী আলোচনায় স্থান পায়।

বুড়িগঙ্গা নদী বাঁচিয়ে রাখতে আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- মুসলিমবাগ টাওয়ার মাঠে বুড়িগঙ্গা নদী কার্নিভালের উদ্বোধনী সমাবেশ। সমাবেশ সকাল ১০টায় শুরু হয়ে বেলা ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত চলবে এবং এখান থেকে উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করা হবে। মুসলিমবাগ টাওয়ার মাঠ সংলগ্ন থোটা গুদারাঘাট থেকে শতাধিক নৌকার অংশগ্রহণে বুড়িগঙ্গা নদী কার্নিভাল নদীর তীর ঘেঁষে বাবুবাজার ব্রিজ হয়ে ঘুরে নদীর অন্য পাড় দিয়ে খোলামোড়াঘাট পর্যন্ত যাবে। খোলামোড়াঘাট থেকে এ কার্নিভাল নদীর ডান তীর ঘেঁষে আবার থোটা গুদারাঘাটের দিকে আসবে। থোটা মাঠে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে নদী কার্নিভাল সমাপ্ত হবে।

লিখিত বক্তব্যে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ কনফোর্ডিয়ামের প্রধান শরীফ জামিল বলেন, ‘সুসজ্জিত নৌযান নিয়ে শোভাযাত্রার মাধ্যমে নদী প্রদক্ষিণ করে আমরা জানিয়ে দিতে চাই বুড়িগঙ্গা আমাদের প্রাণ, বুড়িগঙ্গা ঢাকা ও ঢাকাবাসীর প্রাণ। আর তাই ঢাকাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে বুড়িগঙ্গাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।’ বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিলের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এস এম জাহাঙ্গীর আলম, মীর গিয়াস, মেহেদী হাসান প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর