শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

প্লাস্টিক দূষণ কমাতে ‘বিনস অব চেঞ্জ’ ক্যাম্পেইন

অপচনশীল প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইকেল করে নতুন পণ্য উৎপাদন সম্ভব

নিজস্ব প্রতিবেদক

অপচনশীল প্লাসিক বর্জ্যরে দূষণ কমাতে আরএফএল-এর গৃহস্থালি পণ্যের ব্র্যান্ড আরএফএল হাউসওয়্যার ‘বিনস অব চেঞ্জ’ নামে একটি ক্যাম্পেইন চালু করেছে। জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে উৎস থেকেই পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য আলাদা করা এবং শেষ পর্যন্ত তা দুই ভাগে রিসাইকেল করার মধ্যমে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ক্যাম্পেইনটি শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

গতকাল রাজধানীর বাড্ডায় আরএফএল গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে এ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আর এন পাল। অনুষ্ঠানে আরএফএল হাউসওয়্যারের নতুন পণ্য দুই সেকশন বিশিষ্ট ‘টুইন বিন’ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। আরএফএল হাউসওয়্যারের নির্বাহী পরিচালক তৌকিরুল ইসলাম, হেড অব মার্কেটিং ইসফাকুল হক, ব্র্যান্ড ম্যানেজার শফিক শাহিনসহ কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ক্যাম্পেইনের আওতায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, শপিং মল, রেস্তোরাঁ, বাসস্টান্ডসহ জনবহুল স্থানে বিনামূল্যে টুইন বিন বসানোর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সঠিক জায়গায় ময়লা ফেলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হাতেকলমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। আর এন পাল বলেন, অপচনশীল প্লাস্টিক বর্জ্যে ভরে গেছে সাগর, নদী-নালা। কৃষি জমি উর্বরতা হারাচ্ছে। প্রতিদিন উৎপাদিত বর্জ্যরে সিংহভাগই হয় ঘরবাড়িতে। পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য মিশ্রিত থাকায় প্লাস্টিক আলাদা করে পুনর্ব্যবহার করা ব্যয়বহুল, সময়সাপেক্ষ এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্ভব হয় না। অথচ, বর্জ্যগুলো আলাদা হলে পচনশীল বর্জ্য থেকে সার এবং অপচনশীল প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইকেল করে নতুন পণ্য উৎপাদন সম্ভব। এতে বর্জ্য পরিণত হবে সম্পদে। এ জন্য আরএফএল এই ক্যাম্পেইন শুরু করেছে। টুইন বিন বাজারে এনেছে, যার একপাশে থাকবে পচনশীল বর্জ্য, অন্যপাশে অপচনশীল বর্জ্য। এতে ঘর থেকেই সবাই বর্জ্য আলাদা করার ব্যাপারে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে। তিনি বলেন, আরএফএল বাজার থেকে বছরে ৩৬ হাজার মেট্রিক টন প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করে রিসাইকেল করে নতুন পণ্য তৈরি করে। তবুও অনেক প্লাস্টিক অসচেতনতার কারণে প্রকৃতিতে মিশে যায়। সবাই সচেতন হলেই প্লাস্টিক দূষণ থেকে আমরা পরিবেশকে রক্ষা করতে পারব। তৌকিরুল ইসলাম বলেন, প্রথমে ৫০০ স্থানে ও বছর শেষে সারা দেশের ৫ হাজার স্থানে টুইন বিন বসানো হবে। ক্যাম্পেইনের আওতায় একটি অনলাইন গেইম চালু করা হয়েছে। যার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি ও দুই ধরনের বর্জ্য আলাদা করার অভ্যাস গড়ে তোলা হবে। ভবিষ্যতে পুরনো প্লাস্টিক দিয়ে নতুন প্লাস্টিক পণ্য নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর