মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

স্বাস্থ্য বিভাগে চোর-পুলিশ খেলা খুলনায়

নির্দেশনা না মেনেই চলছে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

স্বাস্থ্য বিভাগে চোর-পুলিশ খেলা খুলনায়

অবৈধ হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা থাকলেও খুলনায় মাঠ পর্যায়ে তা মানছে না কেউ। মাঝে মধ্যে অভিযানে অবৈধ এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হলেও কিছু দিনের মধ্যেই সেগুলো স্বাভাবিক সময়ের মতো তাদের কার্যক্রম শুরু করে।

জানা যায়, স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে ২৭ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নগরীতে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালায় স্বাস্থ্য বিভাগ। অভিযানে নগরীর ছয়টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও দুটি ক্লিনিক বন্ধ করা হয়। কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলো প্রকাশ্যেই তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।

খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিভিন্ন সময়ে বিভাগের ১০টি জেলায় ৭১টি ক্লিনিক ও ১০৮টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে      নিবন্ধনসহ কোনো কাগজপত্র নেই। অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের যোগসাজশে এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, স্বাস্থ্যবিভাগের বন্ধের তালিকায় থাকা শান্তিধাম মোড়ে ‘শান্তিধাম ল্যাব কেয়ার কনসালটেশন সেন্টার’টি পুরাতন একটি ভবনের কয়েকটি রুম নিয়ে খোলা হয়েছে। কাগজপত্র ও যন্ত্রপাতি হালনাগাদ না করা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হলেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। একইভাবে শামসুর রহমান রোডের ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিপরীতে বয়রা সেন্ট্রাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে বন্ধের চিঠি দেওয়া হলেও তারা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

নগরীর বয়রা এলাকার বাসিন্দা মশিউর রহমান জানান, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ঘিরে ৪০টির বেশি ক্লিনিক প্যাথলজি ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে। সরকারি হাসপাতালে আসা রোগীদের দালালের মাধ্যমে এসব অবৈধ প্রতিষ্ঠানে এনে পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়। গত ২৯ মে এখানে নিবন্ধনহীন সাউথ সিটি ডায়াগনস্টিক, পপুলার ডায়াগনস্টিক, সিটি ম্যাক্স হাসপাতাল, ম্যাক্স হেলফ কেয়ার, বয়রা সেন্ট্রাল ডায়াগনস্টিক, রেডিয়েন্স আলট্রাসনোগ্রাম ও ভেল ভিউ ডায়াগনস্টিকে অভিযানে গিয়ে সবই বন্ধ পাওয়া যায়।

অভিযোগ রয়েছে, অভিযান শুরুর আগেই মোবাইলে এসব প্রতিষ্ঠানকে তথ্য জানিয়ে দেওয়া হয়। আর স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মচারীদের আশ্বাসে অবৈধ ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো আবারও চালু হয়েছে। এ ব্যাপারে খুলনা বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মনজুরুল মুরশিদ বলেন, বন্ধের নির্দেশের পরও যদি কোনো ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু থাকে-তাহলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর