শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রাবার শিল্প মূল সহায়ক : জুয়েনা আজিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

এসডিজির মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ বলেছেন, রাবার চাষ একটি সম্ভাবনাময় শিল্প। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে স্বপ্ন আমরা ২০৩১ সালের মধ্যে উন্নয়ন সূচকে পৌঁছাব সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রাবার শিল্প একটি মূল সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। আমরা সব সময়ই প্রান্তিক ও তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও কৃষিনির্ভর সমাজব্যবস্থাকে অনুপ্রাণিত করছি। গতকাল চট্টগ্রাম সিজেকেএস জিমনেসিয়াম মাঠে প্রথম প্রাকৃতিক রাবার ও রাবারভিত্তিক শিল্পপণ্য মেলার ষষ্ঠ দিনের সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের উদ্যোগে আয়োজিত ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ঠ লক্ষ্য অর্জনে রাবার চাষের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন রাবার বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারওয়ার জাহান। সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান এনডিসি, বান্দরবনের জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভীন তিবরীজি।

মূল প্রবন্ধে সৈয়দা সারওয়ার জাহান বলেন, বাংলাদেশ রাবার চাষ ও প্রযুক্তিতে অনবদ্য অবদান রেখে চলেছে। এ ধরনের কাজকে আরও গতিশীল করতে প্রশিক্ষণ ও পলিসি প্ল্যানিংয়ের কাজ শুরু করেছি। বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ঠ (এসডিজি) লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রাকৃতিক রাবার উৎপাদন বেশ ভালো অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে। প্রত্যাশা করছি ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা আমাদের ড্রিম গোলে পৌঁছাতে পারব।

তিনি বলেন, রাবার গাছ পরিবেশবান্ধব। রাবার গাছের শেকড় থেকে শুরু করে ফুল, পাতা পর্যন্ত যথেষ্ট উপকারী। রাবার গাছ একটি দ্রুত বর্ধনশীল গাছ। এ গাছ পরিপক্বতা অর্জনের পর থেকে ৩৪ বছর পর্যন্ত লেটেক্স দেয়। প্রতি বছর রাবার গাছ প্রতি হেক্টরে ৩৩.২৫ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড প্রকৃতি থেকে প্রশমিত করে।

মো. মিজানুর রহমান এনডিসি বলেন, সবাই একযোগে চেষ্টা করছি বাংলাদেশকে একটি শিল্পবান্ধব দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে। বাংলাদেশ রাবার শিল্পও এর আওতাভুক্ত। আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে শ্রম, মেধা ও নিষ্ঠার সঙ্গে এসব সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে পারব।

ইয়াসমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, রাবার শিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ডিমান্ড এবং সাপ্লাই সার্কেলে সবার নজর দিতে হবে। আমাদের এ শিল্পের স্টেক হোল্ডাররাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে পলিসি মেকিং, গ্রোথ অ্যানালাইসিস ও ইফেক্টিভনেসে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। দিন দিন আমাদের লেভার ও অর্গানাইজেশন সেটআপ উন্নত করছি। রাবারের উন্নত ক্লোন নিয়ে আসছি। লেটেক্স উৎপাদনে প্রযুক্তির যথাযথ সংযোগ সমন্বয় করছি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর