রাজশাহী মহানগরীর নিজ বাড়ি থেকে এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তার স্বামীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলা করেছেন তাদের ছেলে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি রাজশাহী মহানগর পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার। গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় মামলাটি হয়েছে। মামলার বাদী নাফিজ ইসলাম (২২) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চূড়ান্ত বর্ষে পড়ছেন। মামলার এজাহারে বাদী নাফিজ উল্লেখ করেছেন, তার বাবার অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। এ কারণে তার মাকে নির্যাতন করা হতো। শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের কারণে তার মা আত্মহত্যা করেছেন। ৫ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে এ কথা জানিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন নাফিজ। এ ঘটনায় শুরু থেকেই পুলিশ মামলা না নিয়ে ঘোরাচ্ছিল বলে তার অভিযোগ ছিল।
নগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান আলী দাবি করেন, নাফিজ থানায় আসামাত্রই তারা মামলা নিয়েছেন।
তাকে ঘোরানোর অভিযোগ ঠিক না। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা তদন্তাধীন ছিল। একসঙ্গে দুটি মামলা চলে না। পরে প্রতিবেদন পাওয়ার পর মামলা নেওয়া হয়েছে। এখন বিষয়টি তদন্তকারী কর্মকর্তা দেখছেন।মামলায় একমাত্র অভিযুক্ত ব্যক্তি নুরুল ইসলাম (৬৩)। গত ৩০ মে বিকালে সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তার পদ্মা আবাসিক এলাকার বাসা থেকে তার স্ত্রী নাজমা ইসলামের (৫৭) ঝুলন্ত লাশ সিলিং ফ্যান থেকে নামান ভবনের লোকজন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নগরীর চন্দ্রিমা থানায় সেদিনই অপমৃত্যু মামলা হয়। এ ঘটনার তিন মাসের বেশি সময় পর এই দম্পতির ছেলে নাফিজ মায়ের হাতে লেখা সুইসাইড নোট ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের ছবি জুড়ে দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশের উপপরিদর্শক এ টি এম আশেকুল ইসলাম বলেন, তিনি মামলার তদন্তভার পেয়েছেন। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মামলার বাদী নাফিজ বলেন, ‘পুলিশ মামলা নিয়েছে। অনেকেই বাবার বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি ভালোভাবে নিচ্ছেন না। আমার মায়ের সঙ্গে তো অপরাধ করা হয়েছে। সেটা কীভাবে চেপে থাকব। আমি একটি অপরাধের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। এ অপরাধের শাস্তি হওয়া দরকার।’