বিদেশিরা বাংলাদেশে স্বর্ণশিল্পে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন জানিয়ে বাজুস নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বিদেশিরা বিনিয়োগ করলে দেশের স্বর্ণশিল্প উপকৃত হবে। তবে বিনিয়োগকারীরা যাতে দেশে শোরুম খুলতে না পারেন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাদের উৎপাদিত স্বর্ণালংকার দেশে বিক্রি করতে চাইলে ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে করতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগের আড়ালে যাতে দেশের স্বর্ণশিল্প ধ্বংস না হয়, বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) সিলেট জেলা শাখা আয়োজিত মতবিনিময় সভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, একসময় স্বর্ণশিল্পের গৌরবময় ঐতিহ্য ছিল। কিন্তু নীতিমালার অভাবে দিন দিন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যায় এ শিল্প। বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরের হাত ধরে স্বর্ণশিল্প হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেতে যাচ্ছে। এজন্য তিনি সারা দেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের একই ছাতার নিচে আনার চেষ্টা করছেন। একটি নীতিমালার অভাবে দেশের স্বর্ণশিল্প হুমকির মুখে পড়েছিল। কলঙ্কের তিলক পরে ব্যবসায়ীদের স্বর্ণ ব্যবসা করতে হচ্ছিল। সায়েম সোবহান আনভীরের দক্ষ নেতৃত্বে নীতিমালা হয়েছে। স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা কলঙ্কমুক্ত হয়েছেন। সায়েম সোবহান আনভীর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর সারা দেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ঐক্যবদ্ধ করার কাজ শুরু করেন। দেশের সব স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে বাজুসের আওতায় আনতে প্রতিটি জেলায় মতবিনিময় ও সম্মেলন হচ্ছে। গতিশীল কমিটি গঠন করা হচ্ছে। দেশের স্বর্ণশিল্পকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বাজুস প্রেসিডেন্ট। তিনি বাজুসের মাধ্যমে দেশে স্বর্ণশিল্পে বিপ্লব ঘটাতে চান। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জুয়েলার্স শিল্পকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। এজন্য বাজুস দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে স্বর্ণালংকার রপ্তানি করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এতে স্বর্ণশিল্পীরা আবারও তাঁদের পুরনো পেশায় ব্যস্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন। স্বর্ণশিল্পের সুদিন ফিরবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে। দেশে স্বর্ণশিল্প কারখানা স্থাপন হবে। তাঁরা বলেন, দেশে স্বর্ণ কারখানা স্থাপিত হলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও স্বর্ণ রপ্তানি সম্ভব হবে। গার্মেন্টসের পরই স্বর্ণশিল্প হবে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যম।

বাজুস সিলেট জেলা সভাপতি মাহবুবুর রহমান সওদাগরের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাজুসের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি এবং স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ব্যাংকিং অ্যান্ড ফিন্যানশিয়াল সার্ভিসেসের চেয়ারম্যান গুলজার আহমদ।

পরে সিলেট জেলার নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচন বোর্ড ও আপিল বোর্ডের সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়।