রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনের ছায়া অবলম্বনে জল ও নারীর সম্পর্ক নিয়ে নৃত্যনাট্য ‘ওয়াটারনেস’ নির্মাণ করেছে তুরঙ্গমী রেপার্টরি ড্যান্স থিয়েটার। নাচের মুদ্রার শৈল্পিকতায় শিল্পীরা রবীন্দ্রনাথ ও তার সৃষ্টিকর্মকে মূর্ত করে তুলেছেন এতে। নৃত্য ও সুরের পরতে পরতে জল ও নারীর গুরুত্ব নান্দনিকতার সঙ্গে উপস্থাপন করা হয়েছে। পরিবেশনার প্রতিটি ধাপে মুন্সীয়ানার ছাপ রেখেছিলেন শিল্পীরা। গতকাল সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে পরিবেশিত হয় নৃত্যনাট্যটি। ধীমান ভট্টাচার্যের লেখা নৃত্যনাট্যটির মূল ভাবনা, পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ছিলেন পূজা সেন গুপ্ত।
১৮৯০ থেকে ১৯৪১ সাল পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনকালের বিভিন্ন রচনা, লেখনী, সাহিত্য, চিঠি, গান, চিত্রকর্ম ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ড অবলম্বন করে গড়ে উঠেছে এটি। এর সংগীত পরিচালনায় ছিলেন সুমন সরকার। নৃত্য ও অভিনয়ে অংশ নেন পূজা সেনগুপ্ত, আতিক রহমান, ফারিয়া পারভেজ, লোপা অধিকারী, সাথিয়া ইসলাম, তাসনিয়া ইশা, অদৃজা সেনগুপ্ত, শাকিল আহমেদ, প্রান্তিক দেব প্রমুখ।
বাদল ভেজা সন্ধ্যায় নাচের মুদ্রার ঝলকানির সঙ্গে হৃদয় হরণ করা সুর মিলনায়তনে আগত দর্শক শ্রোতাদের করে বিমোহিত। এই আসরে অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডা, দক্ষিণ কোরিয়া, সুইডেন, ডেনমার্ক, মালদ্বীপ ও থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতরা।