স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় ২০০৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের উন্নয়নে প্রায় ৮২ হাজার ৫৮৩টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ-ইউনিট, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, অ্যান্টি টেরোরিজম ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। পুলিশের পাশাপাশি শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের শক্তিশালী করে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আমরা কাজ করছি। আগের পুলিশের সঙ্গে বর্তমান পুলিশের অনেক পার্থক্য রয়েছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল রাতে গাজীপুর পুলিশ লাইনস মাঠে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে রাজারবাগে পুলিশের উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, তোমাদেরকে জনগণের পুলিশ হতে হবে। তোমরা বৈদেশিক উপমহাদেশীয় কোনো শাসনকর্তার পুলিশ নও। তোমরা এদেশের পুলিশ। তোমাদের এদেশে মানুষের পাশে থাকতে হবে। আজকে সেই জায়গাতেই পুলিশ আসছে। আপনারা ১৫-২০ বছর আগে যে পুলিশ দেখেছিলেন সেই পুলিশের সঙ্গে বর্তমান পুলিশের অনেক পার্থক্য রয়েছে। এরা যেমন জীবন উৎসর্গ করে তেমনি তাদের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে ক্রাইম ডিটেকশনের জন্য সময় নেয় না।
জিএমপির কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন। প্রধান বক্তা ছিলেন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ। অনুষ্ঠানে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম ছাড়াও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বিকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দফতরের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। হাতি, ঘোড়ার গাড়ি, মোটরবাইক সহকারে শোভাযাত্রাটি পুলিশ লাইনসে এসে শেষ হয়। এখানে বেলুন, পায়রা উড়িয়ে এবং কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন করা হয়। রাতে জনপ্রিয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
