বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ধর্ষণ মামলায় আসামি করে হয়রানি, ওসিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় আসামি করে হয়রানির অভিযোগে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুছ ছালেকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মো. আতাউর রহমান খান। ১৮ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। আদালত অধিকতর শুনানির জন্য ১৩ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন। মামলার অন্যান্য আসামি হলেন- (১) ধর্ষণ মামলার বাদী তুলনা বেগম, (২) ফাহমিদা বেগম, (৩) বানেছা বেগম, (৪) সুফিয়া বেগম ও (৫) শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির। বাদী মো. আতাউর রহমান বড়লেখা উপজেলার নিউ সমনবাগ চা বাগানের সাবেক ব্যবস্থাপক। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, তৎকালীন শ্রীমঙ্গল থানার ওসি (বর্তমানে কুলাউড়া থানার ওসি) মো. আবদুছ ছালেক বাদীসহ ধর্ষণ মামলার অন্য আসামিদের হয়রানি করার জন্য পরিকল্পিতভাবে শ্রীমঙ্গলের তুলনা বেগমের দায়ের করা মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় আসামি করেন। যা পরবর্তীতে বিভিন্ন ধাপে আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। আরও জানা যায়, ধর্ষণের অভিযোগ এনে তুলনা বেগম ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর শ্রীমঙ্গল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় চা বাগান ব্যবস্থাপক মো. আতাউর রহমানসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় মো. আতাউর রহমান কারাভোগও করেন। ধর্ষণ মামলায় প্রতিবন্ধী ইকবাল হোসেন রাসেলকে আসামি করা হয়। ওসি ছালেক ও তদন্ত অফিসার হুমায়ুন কবির নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য একপর্যায়ে ধর্ষণ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে চা বাগান ম্যানেজার মো. আতাউর রহমানসহ পাঁচজনের নাম বাদ দেন।

এ বিষয়ে মামলার বাদী মো. আতাউর রহমান বলেন, আমার সম্মান ক্ষুণœ এবং হয়রানি করার জন্য একটি চক্রের পরিকল্পনায় এই মামলা দায়ের করা হয়। মিথ্যা মামলায় কারাভোগের পর ন্যায়বিচারের জন্য সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করি। কিন্তু কোনো সুবিচার পাইনি। যার পরিপ্রেক্ষিতে ন্যায়বিচারের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। ওসি আবদুছ ছালেক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির সুপরিকল্পিতভাবে মিথ্যা নাটক সাজিয়েছেন।

অভিযুক্ত শ্রীমঙ্গল থানার ওসি (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির মামলার কথা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত হলে প্রকৃত বিষয়টি বেরিয়ে আসবে। অভিযুক্ত কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুছ ছালেক বলেন, মামলার বিষয়টি শুনেছি। তবে কী কারণে আমাকে আসামি করেছেন বিষয়টি বুঝে উঠতে পারছি না।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, কোর্ট অফিসার ইনচার্জের মাধ্যমে মামলার বিষয়টি অবগত হয়েছি। তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর