বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

গম আমদানি বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা, টিআইবির প্রতিউত্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক

গম আমদানি বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যার প্রতিউত্তর দিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গতকাল টিআইবির পাঠানো প্রতিউত্তরে বলা হয়-বেশি দামে গম আমদানি নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর বিবৃতি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করায় এবং এ বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান সত্যিই উৎসাহব্যঞ্জক। কিন্তু মন্ত্রণালয় যৌক্তিক দামে গম কেনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে, যেভাবে টিআইবির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে, তা সত্যিই হতাশার। একই সঙ্গে, ব্যাখ্যায় গণমাধ্যম ও টিআইবির বিবৃতিতে তোলা অনেক প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। তৃতীয় পক্ষের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে খাদ্য মন্ত্রণালয় যে ব্যাখ্যা দিয়েছে তার জবাবে টিআইবি বলেছে- খাদ্যসচিবের বক্তব্য অনুযায়ী আলোচিত প্রতিষ্ঠানটির দুজন প্রতিনিধি গমের দাম নিয়ে সমঝোতা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এবং সমঝোতায় সহায়তা করেছেন। গমের দাম নিয়ে প্রতিউত্তরে বলা হয়- প্রতিটনে ১০০ ডলার ল্যান্ডিং খরচের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি, সেখানেই মূলত শুভঙ্করী ফাঁকি। শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডের তথ্য বলছে, ব্ল্যাক-সি-হুইট ৩১০ ডলারে লেনদেন হয়েছে ১৯ সেপ্টেম্বর।

 একই সঙ্গে, সিএমই গ্রুপের তথ্য বলছে, এই গমের ভবিষ্যৎ চুক্তি, যেটি ২০২৩ সালে (জুন থেকে আগস্ট সময়কালে) সরবরাহ করা হবে, তার দাম ২৯৬ ডলারে সম্পন্ন হয়েছে। তাই মন্ত্রণালয়ের গমের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে বলে দেওয়া যুক্তি ধোপে টিকে না। খাদ্যপণ্যের কেনাকাটায় নিয়মিত আন্তর্জাতিক বাজার এবং সরবরাহকারী সম্পর্কে খোঁজখবর রাখা জরুরি হলেও, খাদ্য মন্ত্রণালয় যে তা রাখে না, তার বড় প্রমাণ বাড়তি দাম বিবেচনায় প্রডিনটর্গের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশের চুক্তি বাতিলের বিষয়ে তথ্য না থাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর