শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে শিশুরাও আক্রান্ত ডেঙ্গুতে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ৯ মাসে ১৯৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়। এর মধ্যে শিশু ২৮। বয়স্কদের সঙ্গে শিশুরাও ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনা নেই। চট্টগ্রামে বুধবার এক দিনে দুজন এবং মঙ্গলবার একজন ডেঙ্গু রোগী মারা যান। জানা যায়, বর্তমানে চমেক হাসপাতালে ২৩ জন রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে শিশু তিন এবং মেডিসিন ওয়ার্ডে বয়স্ক রোগী ২০ জন। গত বুধবার শিশু রোগী ভর্তি ছিল চারজন। চমেক হাসপাতালের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. তানিয়া সুলতানা বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গুর চারটি ভেরিয়েন্ট রোগীদের আক্রান্ত করছে। হয়তো এর মধ্যে কোনো একটি ভেরিয়েন্ট শিশুদের মধ্যেও ইনফেকশন হচ্ছে। তাই বয়স্কদের সঙ্গে শিশুরাও আক্রান্ত হচ্ছে।

তবে বয়স্ক ও শিশু আক্রান্তদের মধ্যে তুলনামূলক মূল্যায়ন করলে এখনো ওই রকম বাড়ছে বলে বলা যাবে না। তাছাড়া এখন পর্যন্ত কোনো শিশুর অঘটন ঘটেনি। একটি শিশুকে পিআইসিইউতে নিতে হয়েছিল। সে এখন ভালোই আছে। কয়েক দিনের মধ্যে ডিসচার্জ দেওয়া হবে।

ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন সবুজ বলেন, এখন মৌসুম পরিবর্তন হচ্ছে। এ সময় এডিস মশার প্রজননটাও বাড়ে। তাই ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। ফলে বড়দের সঙ্গে শিশুরাও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই সবাইকে এডিস মশার কামড় থেকে বেঁচে থাকতে হবে। শিশুদের মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হবে। তাছাড়া বাড়ির আশপাশে পরিষ্কার এবং আঙিনায় যাতে কোনো মতেই পানি না জমে বিষয়টি নজরে রাখা জরুরি।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত বুধবার এক দিনে দুজন এবং গত মঙ্গলবার একজন মারা যান। এ নিয়ে গত দুই দিনে তিনজনের মৃত্যু হয়। গতকাল চমেক হাসপাতালে মারা যান খুরশিদা বেগম (৭০) ও বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা যান দিলারা বেগম (৫০)। এর আগে গত মঙ্গলবার চমেক হাসপাতালে মারা যান শিউলি রানী (৪০)। খুরশিদা বেগম ডেঙ্গু উপসর্গ নিয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর চমেক হাসপাতালে ভর্তি হন। চার দিন পর গত বুধবার রাত ১১টার দিকে তিনি মারা যান। অন্যদিকে, দিলারা বেগম ১৪ সেপ্টেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনিও গত বুধবার রাতে মারা যান।   

চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক সাহেদা আখতার বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চমেক হাসপাতালে বর্তমানে ২৩ জন রোগী ভর্তি আছেন। গত বুধবার দুজনের মৃত্যু হয়। তবে তাদের ডেঙ্গু ছাড়াও আগে থেকে হৃদরোগসহ নানা রোগ ছিল। এ ছাড়া ছযজনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর