রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

অবৈধ স্থাপনার চাপ সহ্য করতে পারছে না সেন্টমার্টিন

পর্যটন মেলার সেমিনারে আলোচকরা

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজার সাগর পাড়ের পর্যটন মেলায় অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন বলেছেন, সেন্টমার্টিনে অপরিকল্পিত ভবন কখনই গ্রহণযোগ্য নয়। এসব অবৈধ স্থাপনার চাপ সেন্টমার্টিন দ্বীপ সহ্য করতে পারছে না। শুক্রবার সন্ধ্যায় সৈকতের লাবণী পয়েন্টে পর্যটন মেলা উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সবকিছু বিবেচনায় রেখে আপাতত টেকনাফ ঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সচিব বলেন, কবে নাগাদ টেকনাফ ঘাট থেকে জাহাজ ছাড়বে তা জানানো হবে। পর্যটন সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন আরও বলন, ‘পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে নান্দনিকভাবে সাজাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা রয়েছে। আবার কারও ক্ষতি করে তিনি উন্নয়ন করবেন না। সবকিছু ইতিবাচক হলে তিনি উন্নয়নের সিদ্ধান্ত  নেবেন।’ সচিব বলেন, ‘পর্যটন খাতকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে এরকম পর্যটন মেলা প্রতি বছর করার জন্য চিন্তাভাবনা আছে। এমনকি সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এ ধরনের মেলা বছরে দুবারও করতে পারব আমরা। পর্যটনের জন্য কক্সবাজার অন্যতম একটি স্থান, এটিকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা আমাদের সবার দায়িত্ব।’ ছোটখাটো ঘটে যাওয়া ঘটনাকে তিলকে তাল না করে পর্যটন এলাকা নিয়ে প্রচার করলে দেশি-বিদেশি পর্যটকে ভরপুর হবে কক্সবাজার- এমনটিও জানান বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন। জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুকেশ কুমার সরকার, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি নইমুল হক চৌধুরী টুটুল, কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট আবু মোরশেদ চৌধুরী প্রমুখ। গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে সপ্তাহব্যাপী পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভাল। আগামীকাল মেলা শেষ হবে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি আয়োজিত মেলার শুক্রবার চতুর্থ দিন। প্রতিদিনই পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয়দেরও প্রচুর ভিড় থাকে।

এই মেলাটি ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের বিনোদনের বাড়তি খোরাক হয়ে দাঁড়িয়েছে। মেলায় বসেছে দুই শতাধিক স্টল। সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় মেলায় উপচে পড়া ভিড়। সাগর পাড়ের এ মেলায় স্টলগুলোর বাহারি সৌন্দর্য, লাইটিং, ডিজাইন, জমকালো বর্ণিল সাজে দীর্ঘ এলাকায় বসেছে যেন পর্যটকের মিলনমেলা। সন্ধ্যার পর স্থানীয় ও জাতীয় শিল্পীদের গানের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনায় আগত পর্যটকদের মাঝে বাড়তি আনন্দ যোগ হয়েছে। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন- ‘দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজারকে ব্র্যান্ডিং করতে চাই আমরা। সেই সঙ্গে কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরাই আমাদের অন্যতম উদ্দেশ্য।’ তিনি আশা করেন, এখন থেকে প্রতি বছরের বিশ্ব পর্যটন দিবসের দিন থেকে সপ্তাহব্যাপী এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে সাগর পাড়ের লাবণী পয়েন্টে। দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপ কক্সবাজারের পর্যটন মেলার অন্যতম সহযোগী (স্পন্সর)।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর