শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ ছাড়ে চিকিৎসা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্ব দৃষ্টি দিবস উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ ছাড়ে স্বল্প খরচে চোখের যাবতীয় চিকিৎসা দিচ্ছে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট। গতকাল থেকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে সপ্তাহব্যাপী এই ক্যাম্প শুরু হয়েছে। এ সেবা চলবে আগামী বুধবার পর্যন্ত। এ সময়ে সকাল ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ৫০ শতাংশ ছাড়ে মাত্র ১৫০ টাকা ফি দিয়ে চোখের ডাক্তার দেখানো যাবে। একই সঙ্গে চোখের যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষায় মিলবে ২৫ শতাংশ মূল্য ছাড়। দিবসটি উপলক্ষে সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি শোভাযাত্রা বের করে।  শোভাযাত্রাটি বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. সালেহ আহমেদের নেতৃত্বে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার হাসপাতালে গিয়ে শেষ হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন স্তরের চিকিৎসক, কনসালট্যান্টসহ হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা। শোভাযাত্রাটির স্পন্সর ছিল এরিস্টোভিশন। এ ছাড়া যাবতীয় বিশেষ ছাড় বসুন্ধরা আই হসপিটাল থেকে করা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। অধ্যাপক ডা. মো. সালেহ আহমেদ বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এদিনকে বিশ্ব দৃষ্টি দিবস ঘোষণা করেছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের চোখের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করা। যাতে বিশ্বব্যাপী সবাই সচেতন হয়ে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়। কারণ বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীতে অন্ধত্বের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে কতগুলো রোগ যেমন- রি-ফ্যাকটিভ অ্যারোর অন্ধত্বের প্রধান কারণ। এটা যদি অল্প বয়সেই নির্ণয় করা যায়, তাহলে অন্ধত্ব নিবারণ করা সম্ভব। এরপর ছানিজনিত গ্লুকোমা, ক্রোনিয়াল ডিজিজ- এগুলো সম্পর্কেও আমাদের সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। সচেতনতার অভাবে অন্ধত্বের সংখ্যা বাড়ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আহসান হাবীব বলেন, দিবসটি উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী রোগীরা বিশেষ ছাড়ে চিকিৎসা নিতে পারবেন। ডাক্তার দেখানো ফি বাবদ ৫০ শতাংশ এবং সব পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ২৫ শতাংশ ছাড় দিচ্ছি। আউটডোর রোগীদের ক্ষেত্রে কনসালটেশন ফি ৫০ শতাংশ এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ সুবিধা পাবেন সব রোগী। প্রথম দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে রোগীরা সেবা নিতে এসেছেন বলে তিনি জানান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর