শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

ধানের উৎপাদন বাড়বে তিন গুণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ধানের উৎপাদন বাড়বে তিন গুণ

প্রচলিত ধানের বদলে উচ্চ ফলনশীল ও হাইব্রিড জাতের চাষ বাড়িয়ে আগামী তিন বছরের মধ্যে ধানের উৎপাদন বর্তমানের চেয়ে প্রায় তিন গুণ অর্থাৎ ৩২ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করা সম্ভব। এ ছাড়া, শস্যবিন্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে পতিত জমিতে চাষ করে একই সময়ে তেল ফসলের উৎপাদন ২৪ লাখ টন বাড়ানো সম্ভব। গতকাল রাজধানীর খামারবাড়ীতে কেআইবি অডিটোরিয়ামে ‘বিদ্যমান শস্য বিন্যাসে তৈল ফসলের অন্তর্র্ভুক্তি এবং ধান ফসলের অধিক ফলনশীল জাতসমূহের উৎপাদন বৃদ্ধি’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক হাবিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, দুই যুগের বেশি সময় ধরে চাষ করা ব্রি-২৮, ব্রি-২৯ জাতগুলোর রিপ্লেস করে ব্রি-৮৯, ব্রি-৯২, বঙ্গবন্ধু ধান-১০০-সহ বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল জাতের চাষ সম্প্রসারণ পরিকল্পনা অনুযায়ী করা গেলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মধ্যে হেক্টরপ্রতি উৎপাদনশীলতা ৪ মেট্রিক টন থেকে বাড়িয়ে ৪ দশমিক ৬০ টনে উন্নীত করা সম্ভব। ফলে এই সময়ে বোরোর মোট উৎপাদন ১৪ দশমিক ৩৮ লাখ মেট্রিক টন বাড়ানো সম্ভব। একইভাবে জাতের পরিবর্তন করে আমনের হেক্টরপ্রতি উৎপাদনশীলতা ২ দশমিক ৯৫ মেট্রিক টন থেকে বাড়িয়ে ৩ দশমিক ৪৪ মেট্রিক টনে নেওয়া সম্ভব। যাতে করে উৎপাদন বাড়বে ১৪ দশমিক ৬৩ লাখ টন। আউশ মৌসুমেও একই কাজ করে ৩ দশমিক ৬২ লাখ টন ধানের উৎপাদন বাড়ানো যাবে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, কৃষি উৎপাদনে অভাবনীয় অগ্রগতি হয়েছে। আমরা চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি, কিন্তু এখনো ডাল ও তেলজাতীয় ফসল আমদানি করতে হয়। তিনি বলেন, আমরা ২০ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকা ভোজ্য তেল আমদানিতে ব্যয় করছি, এটি সাধারণ মানুষের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হবে। আমাদের চাহিদার ৯০ শতাংশ আমদানি করতে হচ্ছে। মাত্র ১০ শতাংশ দেশে আবাদ হচ্ছে। আমরা দেশেই ৪০ থেকে ৫০ ভাগ ভোজ্য তেল উৎপাদন করতে চাই। আমাদের বিজ্ঞানীরা যে নতুন প্রযুক্তি এনেছেন, এসব ব্যবহার করতে পারলে আমরা লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারব। কর্মশালায় কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রি-এর মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও রাইস ফার্মিং সিস্টেমস ডিভিশনের প্রধান মো. ইব্রাহিম এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক হাবিবুর রহমান চৌধুরী।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর