বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা
হাই কোর্টের রুল

জিয়ার আমলে সামরিক আদালতে দেওয়া সাজা কেন অবৈধ নয়

ঋণখেলাপিদের বিশেষ ছাড়ের সার্কুলার কেন অবৈধ নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বিমানবাহিনীর এক বিদ্রোহের ঘটনায় সামরিক আদালতের দেওয়া সাজা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাই কোর্ট। একই সঙ্গে সে সময় ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। এ-সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। ওই সামরিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিমানবাহিনীর সার্জেন্ট সাইদুর রহমানের ছেলে কামরুজ্জামান মিঞা লেলিনসহ বিমান বাহিনীর ১৪ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত সেনা ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের সন্তানসহ ৮৮ জনের পক্ষে ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল রিট করা হয়। দীর্ঘদিন পর গতকাল রিট শুনানিতে আসে। এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, তার সঙ্গে ছিলেন মতিউর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

ঋণখেলাপিদের বিশেষ ছাড়ারের সার্কুলার কেন অবৈধ নয় : ঋণখেলাপিদের বড় ছাড় দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলারের চারটি ধারা (৪, ৫, ৬ ও ৯) কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে রুল জারি করেছেন হাই কোর্ট। একই সঙ্গে প্রাইভেট ব্যাংকগুলোর লোন মনিটরিং সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষমতা খর্ব করা কেন অবৈধ নয়, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। গতকাল বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। এর আগে ঋণখেলাপিদের বড় ছাড় দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। অর্থ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।

গত ১৮ জুলাই ঋণখেলাপিদের বড় ছাড় দিয়ে সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং শ্রেণিকৃত ঋণের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার যুক্তি দেখিয়ে ঋণখেলাপিদের ওই ছাড় দেওয়া হয়। ফলে খেলাপি ঋণ নিয়মিত করতে এখন আড়াই থেকে সাড়ে ৪ শতাংশ অর্থ জমা দিলেই চলবে, আগে যা ছিল ১০ থেকে ৩০ শতাংশ।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর