বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

রাজধানীতে ডিস্ট্রিবিউটর পরিচয়ে মালামাল লুট, আটক ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিভিন্ন কোম্পানির মালামাল কাভার্ডভ্যানে করে অর্ডারকারীর গন্তব্যে পৌঁছানোর সময় মাঝপথে গতিরোধ করত প্রতারকরা। পরে নিজেদের সংশ্লিষ্ট কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউটর পরিচয় দিয়ে চালককে বলা হতো, কোম্পানি থেকে কিছু মালামাল এখানকার গোডাউনে নামিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। কাভার্ডভ্যানের ভিতরে কতটি ও কি কি মালামাল আছে নির্ভুলভাবে বলে দেওয়ায় সন্দেহ হতো না চালকের। মালামাল হাতিয়ে নেওয়ার পর চালক জানতে পারতেন, তারা কোম্পানির লোক নয়। এভাবে এক বছরে কমপক্ষে ১৬টি প্রতারণা করার পর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে চক্রের ৩ সদস্য। তারা হলেন-মারুফ হোসেন সোহাগ, মহসিন ও অসীম। সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১০টি ওয়াশিং মেশিন ও ৩টি ফ্রিজ উদ্ধার করা হয়। গতকাল রাজধানীর শ্যামলীতে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের ডিসি এইচএম আজিমুল হক। তিনি বলেন, ৯ অক্টোবর গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটনের ফ্যাক্টরি থেকে একটি কাভার্ডভ্যানে ৩০টি ওয়াশিং মেশিন নিয়ে রওনা করেন চালক। সন্ধ্যায় আদাবর থানার শাহাবুদ্দিন প্লাজার সামনে কাভার্ডভ্যানটি পৌঁছলে দুজন গাড়ির গতিরোধ করেন। ওই প্রতারক চক্রের সদস্যরা কাভার্ডভ্যান চালককে বলেন, গাড়িটিতে ওয়ালটনের মালামাল আছে কি না।

আপনার সঙ্গে মোবাইলে যার কথা হয়েছে তিনিই আমাদের এগুলো নেওয়ার জন্য পাঠিয়েছেন। গোডাউনে জায়গা না থাকায় এখানে ১০টি মাল নামিয়ে রাখতে বলেছে। তখন গাড়িচালক সরল মনে শাহাবুদ্দিন প্লাজার সামনে ১০টি ওয়াশিং মেশিন চক্রের কাছে দেন। বাকি মালামালগুলো গোডাউনের পেছনে আনলোড করবে বলে চালককে জানায়। এ ঘটনায় ১৩ অক্টোবর আদাবর থানায় মামলা হয়। এই ঘটনায় ১৯টি সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চক্রের হোতা মারুফকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের আরও দুই সদস্য মহসিন ও অসীমকে গ্রেফতার করা হয়। তারা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। এক বছরের তারা ১৬টি অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। ১৬ অক্টোবর মিরপুরের কাজীপাড়া থেকে একই কায়দায় ডিস্ট্রিবিউটর পরিচয় দিয়ে ওয়ালটনের তিনটি ফ্রিজ হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনায় ফ্রিজের মালিক বাদী হয়ে মিরপুর থানায় অভিযোগ দেন। এই চক্রের সঙ্গে ওয়ালটনের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত আছেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিসি আজিমুল হক বলেন, জড়িত থাকার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা বিষয়টি দেখছি।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর