বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ১৯ বছর পর গ্রেফতার

মাকে বেঁধে মেয়েকে ধর্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেনীর সোনাগাজীতে মাকে বেঁধে ১৩ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি লাতু মিয়াকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। সোমবার রাতে রাজধানীর বাড্ডা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৩-এর একটি দল। গতকাল দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০০৩ সালের ১৩ মে গভীর রাতে সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের একটি বাড়িতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন লাতু মিয়া, ফারুক, জাহাঙ্গীর আলম ও কাশেম। তারা বিধবা মাকে অস্ত্রের মুখে বেঁধে তার সামনেই ১৩ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ভিকটমের মা সোনাগাজী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ২০০৩ সালের ১৩ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

বিচারকাজ শেষে ২০২২ সালের ১৪ জুলাই জাহাঙ্গীর আলম, আবুল কাশেম ও লাতু মিয়ার বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। এ ছাড়া অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় ফারুককে খালাস দেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লাতু র‌্যাবকে জানান, ঘটনার সময় সোনাগাজী এলাকায় ফারুকের নেতৃত্বে তিনি আধিপত্য বিস্তারসহ নানা অপকর্ম করতেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় নারীদের উত্ত্যক্ত করতেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর ভিকটিমের বিধবা মা অনেক কষ্টে দিনযাপন করছিলেন। তারা বিভিন্ন সময় ভিকটিম ও তার মাকে কুপ্রস্তাব দিতেন। রাজি না হওয়ায় তারা চারজন মিলে ভিকটিমকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। ঘটনাটি সারা দেশে আলোচিত হয়।

জানা যায়, ঘটনার পর লাতু ও তার সহযোগীরা একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছিলেন। তবে জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান এবং মামলা তুলে নিতে মা-মেয়েকে ভয়ভীতি দেখান।

যেখানে আত্মগোপন : র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক বলেন, ঘটনার পর লাতু চট্টগ্রামে গিয়ে শুরুতে রিকশাচালক পরে চুরি-ডাকাতিতে জড়ান। একটি ডাকাতির ঘটনায় তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলও খাটেন। জামিনে বেরিয়ে গোপনে আত্মীয়স্বজনের বাসায় অতিথি হিসেবে জীবনযাপন করতেন। কিছুদিন সিলেটে মাজার এলাকায় ঘুরে বেড়ান। একপর্যায়ে ঢাকায় এসে ফুটপাতে হকারি শুরু করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে পড়ার আশঙ্কা থেকে দারোয়ানের চাকরি নেন। পালিয়ে বেড়ানোর সময় নিজেকে অলি নবী হিসেবে পরিচয় দিতেন। মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হওয়ার পর ঢাকায় একটি মাজারে আত্মগোপন করেন।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর