মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

ইয়াবা মামলার তদন্তে নেমে মিলল নিখোঁজ ব্যক্তির দেহাবশেষ

গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরে ইয়াবা উদ্ধার মামলার তদন্ত করতে গিয়ে মিলেছে দুই বছর আগে নিখোঁজ হওয়া এক ব্যক্তির দেহাবশেষ। খুন হওয়া ওই ব্যক্তির নাম মো. মিনারুল (৪১)। তিনি জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ থানার মধ্য পলাশতলা গ্রামের নুরু বক্তার ছেলে। মাদক ব্যবসার বিরোধকে কেন্দ্র করে তাকে হত্যার পর মাটিচাপা দেওয়া হয়েছিল। গতকাল জিএমপি ওই ব্যক্তির দেহাবশেষ উদ্ধার করে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান বলেন, ২৭০০ পিস ইয়াবা টেবলেটসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে জিএমপির বাসন থানা পুলিশ। এর মধ্যে আলম মিয়া (২৫)  ছিল ৯ মামলার আসামি। আলমকে রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে তার তথ্যানুযায়ী পুলিশ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাসন থানাধীন নান্দুন কড্ডা এলাকার মোল্লাপাড়ার হালিমের বাড়িতে অভিযান চালায়। একটি টিনশেড ঘরের মেঝে খুঁড়ে নিহত মিনারুলের দেহের হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়। নিহত মিনারুল কোনাবাড়ি থানাধীন আমবাগ এলাকায় সপরিবারে ভাড়া বাসায় থাকতেন। ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর তিনি নিখোঁজ হন। ওই ঘটনায় তার স্ত্রী মৌসুমী বেগম ২০২১ সালের ৯ জানুয়ারি কোনাবাড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। নিখোঁজ স্বামীর সন্ধান পেতে তিনি র‌্যাবের কাছেও অভিযোগ করেন।

জিএমপি উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, আলম ও মিনারুল দুজনই মাদক ব্যবসায়ী। মিনারুলের সঙ্গে মাদকের টাকার ভাগাভাগি ও পূর্বের একটি হত্যা মামলা নিয়ে আলমের বিরোধ হয়। এর জেরে ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর আলম তার বাসায় ডেকে নেন মিনারুলকে। রাত ৮টার দিকে মাদকের টাকার ভাগাভাগি ও ওই হত্যা মামলা নিয়ে দুজনের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে আলমসহ ৪-৫ জন লোহার রড দিয়ে আঘাত করে মিনারুলকে হত্যা করেন। পরে লাশ বাসার পাশে মাটি চাপা দেন। পরবর্তীতে ওই স্থানে বাড়ির মালিক একটি টিনশেড ঘর নির্মাণ করেন। নিহত মিনারুলের নামেও বিভিন্ন থানায় ছয়-সাতটি মামলা রয়েছে বলে গ্রেফতারকৃত আলম জিজ্ঞাসাবাদকালে জানান।

জিএমপির বাসন থানার ওসি মোহাম্মদ মালেক খসরু খান বলেন, গ্রেফতার আলম মিয়া কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারি থানার চর ভুরুঙ্গামারি (দিঘিপাড়া মাঝিবাড়ি) এলাকার মৃত রজব আলীর ছেলে।

এখন আলমের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হবে। তার সহযোগীদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উদ্ধার হওয়া দেহাবশেষ ময়নাতদন্ত এবং ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর