শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

ঘূর্ণিঝড়ে সাগরে নিখোঁজ ২৩ জেলে ভারতে উদ্ধার, পরিবারে হস্তান্তর

বাগেরহাট প্রতিনিধি

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে সোমবার রাতে মাছ ধরার ট্রলার ‘এফবি জেসমিন’ মধ্যসাগরে ডুবে ভাসতে থাকেন ২৩ জেলে। একপর্যায়ে তারা ভারতের সমুদ্রসীমানায় ঢুকে পড়েন। এ দৃশ্য আকাশ থেকে দেখতে পায় ভারতের টহলরত হেলিকপ্টার। মুহূর্তে তাদের জীবন রক্ষায় লাইফ জ্যাকেট ছুড়ে দেয়। পরে ভারতীয় কোস্টগার্ডের জাহাজ ‘বিজয়া’ এসে তাদের উদ্ধার করে। উদ্ধার এসব জেলের বাড়ি ভোলা জেলায়। এই জেলেদের বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমার শূন্যরেখায় বৃহস্পতিবার বিকালে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডে হস্তান্তর করে ভারত। এরপর তাদের মোংলা কোস্টগার্ড স্টেশনে এনে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদারের মধ্যস্থতায় রাতেই পরিবারে হস্তান্তর করা হয়। জেলেদের বরাত দিয়ে মোংলা কোস্টগার্ড কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. মহিউদ্দিন জামান জানান, ‘ঝড়ের কবলে পড়ে ফিশিং ট্রলার এফবি জেসমিন সাগরে ডুবে যায়। এ সময় জেলেরা প্লাস্টিকের ড্রাম নিয়ে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ভাসতে ভাসতে তারা সীমানা পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়েন। পরে তাদের ভারতের কোস্টগার্ড উদ্ধার করে।

তারা এখন সুস্থ আছেন।’ উদ্ধার জেলে রাকিব হোসেন (২০) বলেন, ‘মাছ ধরা নিষেধ জেনেও পেটের দায়ে সাগরে গেছি। সংসারে অভাব, কী করব বলেন? এরপর তো ঝড়ের কবলে পড়ে বাঁচার আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম।’ এদিকে ঝড়ের কবলে পড়া জেলেদের দুই দিনেও হদিস না পাওয়ায় স্বজনরা ভেবেছিলেন কেউ বেঁচে নেই।

ভাইকে কাছে পেয়ে ভোলার চরফ্যাশন থেকে আসা ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘সংসারে অভাবের কারণে ভাই ফরহাদ হোসেনকে মাছ ধরতে পাঠাই। এরপর ঝড়ের খবর শুনে পরিবারের সবাই কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছিল। ভেবেছিলাম ভাই মনে হয় বেঁচে নেই। পরে কোস্টগার্ড থেকে খবর পাই বেঁচে আছে। এজন্য তাকে নিতে এসেছি।’

মোংলার ইউএনও কমলেশ মজুমদার বলেন, ‘ঝড়ের কবলে পড়ে উত্তাল সমুদ্রে যাওয়া জেলেদের বেঁচে ফিরে আসার বিষয়টি অলৌকিক। তবে সাগরে জেলেদের লাইফ জ্যাকেট নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর