রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

হিজলায় আটক ১৫ মণ ইলিশ অবৈধভাবে বিক্রি এলাকায় চাঞ্চল্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

মা ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞার শেষ দিনে অন্তত ১৫ মণ ইলিশ আটক করে বিক্রি করে দিয়েছেন হিজলা থানার ওসি মো. ইউনুছ মিয়া এবং উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এস এম পলাশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হিজলা-গৌরবদীর ৮ নম্বর ঘাটের জসিম সরদারের কাছে এই ইলিশ বিক্রি করা হয়। হিজলা থানার ওসি তার ভগ্নিপতিকে সঙ্গে নিয়ে ইলিশ শিকারবিরোধী অভিযান চালিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে ওসি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে জানতে হিজলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তাকে ফোন দেওয়া হলেও ফোন রিসিভ করেননি তিনি। ধৃত মাছ অভিযান কর্তারা বিক্রি করলেন- এ কথা ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ইলিশের নিরাপদ প্রজননের জন্য ৭ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২৭ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত ইলিশ শিকার, পরিবহন, সংরক্ষণ ও ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করে সরকার। গত শুক্রবার ছিল ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার শেষ দিন। সংশ্লিষ্টরা জানান, ৭ অক্টোবর মধ্যরাতে অভিযান শুরুর পর হিজলায় যান ওসির ভগ্নিপতি আল-আমিন। তাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালান ওসি। বিভিন্ন স্থানে অভিযানে গেলে জেলেসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দরকষাকষি করে ওসির পক্ষে আর্থিক সুবিধা আদায় করতেন ভগ্নিপতি আল-আমিন। গত ১৮ অক্টোবর তিনি হিজলা থেকে বরিশাল ফিরে যান।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে হিজলা থানার ওসি মো. ইউনুছ মিয়া মুঠোফোনে বলেন, শুক্রবারের অভিযানে ৪ মণ ইলিশ উদ্ধার হয়েছে। সব ইলিশ বিভিন্ন এতিমখানা ও মাদরাসায় বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। জব্দকৃত ইলিশ কারও কাছে বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেন ওসি। তিনি বলেন, ভগ্নিপতিকে নিয়ে অভিযান চালানো হয়নি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর