শিরোনাম
শনিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

দেশ আরও বিপর্যয়ের দিকে যাবে : জোনায়েদ সাকি

নিজস্ব প্রতিবেদক

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, এই সরকার ভোটাধিকার হরণ করেছে। দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। লুটপাট করে ব্যাংক ব্যবস্থাকে দেউলিয়া করেছে। টাকা পাচার করে দেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। এই সংবিধান জনগণের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি বরং স্বৈরতন্ত্রের জন্ম দিয়েছে। সংবিধান সংস্কার করে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা না করলে দেশ আরও বিপর্যয়ের দিকে যাবে। গণসংহতি আন্দোলনের দুই দশক এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের সাত বছর উপলক্ষে গতকাল জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, দেশকে সামগ্রিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য জনগণের রাজনৈতিক শক্তিকে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য নির্বাচিত করতে হবে। আমরা গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, শাসনতন্ত্র বদলের জন্য লড়াই শুরু করেছি। জনগণের বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত এ লড়াই চলবে।

জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সমম্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু, হাসান মারুফ রুমী, তাসলিমা আখতার, মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, দীপক রায়, ইমরাদ জুলকার নাইন ইমন, তরিকুল সুজন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার বিরোধী দলের মিছিল-সমাবেশ দেখলেই গদি হারানোর ভয় পায়। এ জন্য বিরোধী দলগুলোর গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে পুলিশ এবং দলীয় গুন্ডা লেলিয়ে  দেয়। সীমাহীন দুর্নীতি ও টাকা পাচার করে দেশের রিজার্ভ পর্যন্ত খেয়ে ফেলেছে। সরকারের ঘনিষ্ঠজনরা অপরাধ করলেও বিচার হয় না। একদিকে দেশের টাকা নয়-ছয় করে বিদুৎ কেন্দ্রের মালিকদের পকেটে তুলে দিচ্ছে, অন্যদিকে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে ফেলেছে সমগ্র দেশকে। ভোট ডাকাতি করে জোরপূর্বক ক্ষমতায় বসায় জনগণের প্রতি এই সরকারের বিন্দুমাত্র দায়বদ্ধতা নেই। বিদেশিদের হাতে পায়ে ধরে আবারও ক্ষমতায় বসার ধান্দা করছে। কিন্তু সেই আশার গুড়েবালি হবে। জনগণের সম্মিলিত জাগরণের মুখে ফ্যাসিবাদের পতন অবশ্যম্ভাবী।

সর্বশেষ খবর