রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের সব ধরনের মিছিল-মিটিং ও শোডাউনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ছাড়া প্রার্থীদের লাগানো সব ধরনের প্রচারণা সামগ্রী অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. আবদুল বাতেন গতকাল দুপুরে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ নির্দেশনার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো নির্বাচন কমিশন থেকেও মনিটরিং করা হবে। কোথাও কোনো ধরনের অনিয়ম হলে ভোট কেন্দ্র বন্ধসহ পুরো নির্বাচন বন্ধের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেবে ইসি। এ নির্দেশের মাধ্যমে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করল নির্বাচন অফিস। এ সময় জেলা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ইভিএমে ভোট প্রদান নিশ্চিত করতে মাঠপর্যায়ে মক ভোটিং কার্যক্রম চলবে। এজন্য খুব দ্রুত দায়িত্ব পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের কার্যক্রম শুরু হবে। সব কেন্দ্রে ইভিএম ও গোপন কক্ষ ছাড়াও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করতে যা যা করণীয় তা-ই করা হবে জানিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য আইনানুগ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আচরণবিধি প্রতিপালনের কোনো বিকল্প নেই। আচরণবিধি অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থী কিংবা প্রার্থীর পক্ষে লাগানো সব ধরনের ব্যানার, পোস্টার ফেস্টুন, বিলবোর্ডসহ প্রচারণা সামগ্রী অপসারণ করতে হবে। কিন্তু ৭ নভেম্বর তফসিল ঘোষিত হলেও এখনো নগর বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টারে ছেয়ে আছে। আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে কোনো প্রার্থী নিজ দায়িত্বে এসব সামগ্রী অপসারণ না করলে প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।