শুক্রবার, ১১ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
খুলনা

বেড়িবাঁধে ভাঙন আতঙ্কে এলাকাবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

বেড়িবাঁধে ভাঙন আতঙ্কে এলাকাবাসী

খুলনার কয়রার দক্ষিণ বেদকাশিতে পাউবোর বেড়িবাঁধে আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইউনিয়নের আংটিহারা গ্রামের শাকবাড়িয়া নদীতে ভাটির টানে প্রায় ২০০ মিটারের মতো বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে ওই এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়রা নিজেদের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে রিং বাঁধের মেরামতের কাজ করছেন। দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুস সালাম খান বলেন, জোয়ারের পানির চাপে আগে থেকেই বেড়িবাঁধে ফাটল ধরেছিল। বুধবার মধ্যরাত থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত ওই স্থানে ভাঙনে ধানখেতসহ ২০০ মিটারের মতো বাঁধ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, এখনো দক্ষিণ বেদকাশির চারটি অংশে বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে আংটিহারা স্লুইচগেট থেকে ক্যাম্প পর্যন্ত, জোড়সিং, মাইটেভাঙ্গা ও গোলখালি এলাকায় বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এর আগে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ২৪ অক্টোবর কয়রার হরিণখোলা বেড়িবাঁধ ও শিবসা নদীর গাতিরঘেরি বেড়িবাঁধে ভাঙন তৈরি হয়। স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে জোড়াতালি দিয়ে বাঁধ মেরামত করেন। এছাড়া ১৩ আগস্ট জোয়ারের পানির চাপে কপোতাক্ষ নদের চরামুখায় রিং বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়।

পরে পাঁচদিন পরিশ্রমের পর রিং বাঁধ মেরামতে সক্ষম হয় গ্রামবাসী। বাঁধের কিছুটা দূর থেকে বাঁশ পুঁতে টিনের বেড়া দিয়ে সেখানে মাটি ফেলে বাঁধ তৈরি করা হয়। দুই অংশের মধ্যে সংযোগ তৈরির পর মাটি দিয়ে বাঁধ উঁচু করা হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ওসমান গনি সরদার বলেন, ‘প্রতি মূহূর্তে মানুষ বাঁধ ভাঙার আতঙ্কে থাকে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় আতঙ্ক আরও বাড়ে। চরামুখার বাঁধটি সংস্কারের জন্য বারবার তাগিদ দেওয়া হলেও টেকসই মেরামত হয়নি।’

কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, কয়রার হোগলা, দশহালিয়া, মদিনাবাদ লঞ্চঘাট, ঘাটাখালী, গাববুনিয়া, আংটিহারা, সুতিরগেট ও মঠবাড়ি পবনা বেড়িবাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে। একইভাবে পাইকগাছা, দাকোপ ও বটিয়াঘাটায় বিভিন্ন স্থানে বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ দ্রুত মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে। এ পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের ১৪ কিলোমিটার জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের মাধ্যমে মেরামত করা হয়েছে। অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ চিহ্নিত করে মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর