এশিয়ার শীর্ষ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নেই বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সর্বোচ্চ ১৫১তম স্থানে আছে। র্যাঙ্কিংয়ে মোট ১০০ স্কোরের মধ্যে ঢাবি পেয়েছে ৩২ দশমিক ৪। এশিয়ার ৭০০ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত কিউএস বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিং বিশ্লেষণে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। শিক্ষা ও শিক্ষকদের সুনাম, পিএইচডির সংখ্যা এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর হারের ওপর ভিত্তি করে এই র্যাঙ্কিং করা হয়। র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে আছে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় এবং দ্বিতীয় স্থানে আছে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। চীনের জিনহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় স্থানে আছে। বাংলাদেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ) যথাক্রমে ১৯৯তম এবং ২১৯তম স্থানে আছে। প্রতিষ্ঠান দুটির প্রাপ্ত স্কোর যথাক্রমে ২৬ দশমিক ৯ এবং ২৪ দশমিক ৮। র্যাঙ্কিংয়ে থাকা বাংলাদেশের এ তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেই শুধু স্কোর উল্লেখ করেছে কিউএস। র্যাঙ্কিংয়ে ভারতের ৭টি বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষ ১০০-এর মধ্যে অবস্থান করছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ৪০তম অবস্থানে আছে দেশটির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, বোম্বে। এই তালিকায় শীর্ষ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পাকিস্তানের আছে ৩টি। পাকিস্তানের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি (এনইউএসটি) ইসলামাবাদের অবস্থান ৬৭তম। র্যাঙ্কিংয়ে থাকা বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ব্র্যাক ৩০১-৩৫০, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় ৩৫১-৪০০, চট্টগ্রাম প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি এবং ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি ৪০১-৪৫০ এর মধ্যে স্থান পেয়েছে।
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৪৫১-৫০০ এর মধ্যে স্থান পেয়েছে। আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ৫০১-৫৫০ এর মধ্যে আছে। আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ৬৫১-৭০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে।
