শুক্রবার, ১১ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
চট্টগ্রাম

ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছেই ১০ দিনে আট মৃত্যু

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর প্রকোপ প্রতিদিনই বাড়ছে। ধারণ করেছে মারাত্মক আকার। চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম ১০ দিনেই আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শিশু আছে চারজন। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০৬ জন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ৩৫ জন এবং অন্যান্য হাসপাতালে ৭১ জন চিকিৎসাধীন আছেন। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২ নভেম্বর ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৫০ বছর বয়সী আবুল কালাম নামে এক ব্যক্তি। ৩ নভেম্বর চমেক হাসপাতালে মারা যান ১৩ বছর বয়সী শিশু তৌহিদ। ৫ নভেম্বর মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় বর্ণ নামে ১১ বছর বয়সী শিশু। ৬ নভেম্বর চমেক হাসপাতালে মারা যায় মো. রকিব নামে ২৬ বছর বয়সী এক যুবক, একই দিন পার্কভিউ হাসপাতালে মারা যান আয়েশা সেলিম নামে ৪৫ বছর বয়সী নারী। ৮ নভেম্বর মা ও শিশু হাসপাতালে মারা যায় আর্য দত্ত নামে সাত বছর বয়সী শিশু এবং ৯ নভেম্বর মারা যান জ্ঞানেন্দ্র নাথ মিত্র নামে ৮৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ।

একই দিন চমেক হাসপাতালে মারা যায় আবিদ নামে ছয় বছর বয়সী এক শিশু। চলতি মৌসুমে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট মারা যান ২৩ জন। এর মধ্যে চলতি মাসের প্রথম ১০ দিনেই মারা যান আটজন। অক্টোবর মাসে ১২ জন এবং সেপ্টেম্বর মাসে তিনজনের মৃত্যু হয়। মারা যাওয়া ২৩ জনের মধ্যে ছয়জন পুরুষ, আটজন নারী এবং নয় শিশু রয়েছে। 

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কর্মসূচি চলছে। তাছাড়া ডেঙ্গু চিকিৎসায় সেবাকেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি আছে। চিকিৎসাও চলছে। কিন্তু আমাদের যত চেষ্টাই থাকুক, মানুষ নিজে সচেতন না হলে ডেঙ্গু থেকে পরিত্রাণ পাওয়া কঠিন হবে। তাই সবাইকে নিজ অবস্থান থেকে সচেতন ও সতর্ক হতে হবে।

বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. হামিদ হোছাইন আজাদ বলেন, জ্বরসহ ডেঙ্গুর যে কোনো উপসর্গ পেলেই বিলম্ব করার কোনো সুযোগ নেই। দ্রুতই ডেঙ্গু টেস্ট করাসহ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। বিলম্ব করলে সংকটাপন্ন অবস্থা তৈরি হতে পারে। তখন পরিস্থিতি কঠিন আকার ধারণ করে। তাই উপসর্গ দেখা দিলেই যেন হাসপাতালে যায়।    

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর