শনিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

রামেক হাসপাতাল ভাঙচুরে ক্ষতি ৩৯ লাখ টাকা

শাহরিয়ারের ময়নাতদন্তের সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী কে জি এম শাহরিয়ারের মৃত্যুর পর শিক্ষার্থীরা যে ভাঙচুর করেছেন, তাতে ৩৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের করা তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে এ কথা উল্লেখ করেছে। আর হাসপাতালে আনার আগেই শাহরিয়ারের মৃত্যু হয়েছিল বলে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানীর কাছে ইতোমধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। গতকাল শামীম ইয়াজদানী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রাবি শিক্ষার্থীরা সেদিন হাসপাতাল প্রশাসন ভবনের নিচতলায় ছয়-সাতটি কাচের জানালা ভাঙচুর করেন। আর অর্ধশত ফুলের টবও ভাঙচুর করেন। এ ছাড়া শাহরিয়ারকে মৃত ঘোষণা করার পর ৮ নম্বর ওয়ার্ডে নার্সদের বসার টেবিলটি উল্টে ফেলেন। তদন্ত কমিটি গণপূর্ত অধিদফতরের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জানালার দামগুলো জেনে তাদের মতামত নিয়েছে। তবে ক্ষতির হিসাবের পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. গৌতম কুমার পাল। তিনি বলেন, হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভিতরে একটা মিনি ওটি আছে। সেখানকার অনেক যন্ত্রপাতি চুরি হয়েছে। গণপূর্তের কর্মকর্তারা মেডিকেল যন্ত্রপাতির দাম জানেন না। তাই যন্ত্রপাতির আর্থিক ক্ষতির পরিমাণটা তদন্ত প্রতিবেদনে আসেনি। ওটা ধরলে হাসপাতালের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি হবে।

হাসপাতালের পাঁচ সদস্যের ওই তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন নিউরো মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. কফিল উদ্দিন। কমিটি শাহরিয়ারের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করার সুপারিশ করেছে। আর মৃত্যু যেহেতু আগেই হয়েছিল, তাই শাহরিয়ারের চিকিৎসায় কোনো অবহেলা হয়নি বলেও তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯ অক্টোবর রাবির হবিবুর রহমান হলের তিনতলার বারান্দা থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন শিক্ষার্থী শাহরিয়ার। তাকে রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পাঠান। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এ সময় চিকিৎসায় অবহেলা এবং আইসিইউ বেড না দেওয়ার অভিযোগ তোলেন রাবি শিক্ষার্থীরা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর