শনিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

সৈকতে ভেসে এলো শত শত জেলিফিশ

কক্সবাজার প্রতিনিধি

সৈকতে ভেসে এলো শত শত জেলিফিশ

কক্সবাজার কলাতলী সংলগ্ন সৈকতে শত শত মৃত সাদা নুইন্যা বা ‘হোয়াইট টাইপ জেলিফিশ’ ভেসে এসেছে। ভাটার সময় এসব জেলিফিশ দেখা গেছে। গতকাল সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সৈকতের কলাতলীসহ একাধিক পয়েন্টে এসব মৃত জেলিফিশ ভেসে আসে। এ সময় বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ও সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দরের নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী সেখানে গিয়ে তা নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে যাচাই-বাছাই করেন। তবে কী কারণে এত বিপুল সংখ্যক জেলিফিশ ভেসে এসেছে তাৎক্ষণিক বলতে পারেননি সমুদ্রবিজ্ঞানীরা। তিনি বলেন, জেলিফিশ স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কাটতে পারে না। এ কারণে জোয়ারে ভেসে আসা জেলিফিশ ভাটার সময় সৈকতে আটকা পড়ে। আবার অনেক সময় জেলেদের জালেও আটকা পড়ে মারা যায়।

এই সমুদ্রবিজ্ঞানী বলেন, এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের জানা ২ হাজার প্রজাতির জেলিফিশের মধ্যে মাত্র যে ১২টি জাতের জেলিফিশের খাদ্য মূল্য আছে। তার মধ্যে সাদা নুইন্যা বা হোয়াইট টাইপ জেলিফিশ অন্যতম। এটি খাদ্য হিসেবে বিভিন্ন দেশে বেশ জনপ্রিয়। এই জেলিফিশটির অন্যতম বিচরণ ক্ষেত্র বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূল।

সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর আরও বলেন, বিভিন্ন সময়ে এসব সাদা নুইন্যা মৎস্যজীবীদের বিহুন্দি জালে অযাচিতভাবে আটকা পড়ে মারা যায়। পরবর্তীতে কক্সবাজার, পটুয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসে। অযত্ন অবহেলায় সৈকতে পড়ে থাকা এই সাদা নুইন্যা বা হোয়াইট টাইপ জেলিফিশ খাদ্য ও প্রসাধন শিল্পে ব্যবহার হয়। বঙ্গপোসাগর সাদা নুইন্যা জেলিফিশের অন্যতম আবাস হলেও আমাদের দেশে এর কোনো ব্যবহার নেই। অথচ বিশ্বে জেলিফিশের ৫.৬০ বিলিয়ন ডলারের বাজার রয়েছে। আমরাও এই অবহেলিত সামুদ্রিক পণ্যটির স্থানীয় বাজার সৃষ্টিসহ রপ্তানির মাধ্যমে অর্থনীতিতে অনন্য ভূমিকা রাখতে পারি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর