শনিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

১৫ হাজার হেক্টর অনাবাদি জমি চট্টগ্রামে

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ২ লাখ ২৮ হাজার ৯৬৬ হেক্টর। এর মধ্যে প্রকৃত আবাদি জমি আছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৮১০ হেক্টর এবং চাষযোগ্য পতিত জমি আছে ১৪ হাজার ১৫৬ হেক্টর জমি। তবে সরকার নতুন করে অনাবাদি জমিগুলোকে আবাদযোগ্য করতে নির্দেশনা দিয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, দেশের কৃষি ক্ষেত্রে তিনটি মৌসুম নিয়ে চাষাবাদ করা হয়। এর মধ্যে আছে গ্রীষ্মকালে মধ্য মার্চ থেকে মধ্য জুন পর্যন্ত চলা আউশ চাষ (খরিপ-১), মধ্য জুন থেকে মধ্য জুলাই পর্যন্ত আমন চাষ (খরিপ-২) এবং শীতকালীন মধ্য অক্টোবর থেকে মধ্য মার্চ পর্যন্ত বোরো চাষ বা নানা শস্য উৎপাদনকাল (রবি)। তবে ভৌগোলিক অবস্থান, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং প্রয়োজনের তাগিদে মাসের প্রতিটি দিনই কিছু না কিছু কৃষি কাজ করতে হয়। আউশ চাষের মৌসুমে আবাদি জমির পরিমাণ ৯৩ হাজার ৮৮২ হেক্টর। বাকি ১ লাখ ২০ হাজার ৯২৮ হেক্টর জমি পতিত থাকে। আমন চাষের মৌসুমে আবাদি জমি ২ লাখ ১৩ হাজার ৯৫৪ হেক্টর।

এ সময় পতিত জমির পরিমাণ থাকে ৮৫৬ হেক্টর। রবি মৌসুমে আবাদি জমির পরিমাণ ১ লাখ ৫৭ হাজার ৩৫৮ হেক্টর। বাকি ৫৭ হাজার ৪৫২ হেক্টর জমি পতিত থেকে যায়। রবি মৌসুমের প্রধান ফসল হলো বোরো ধান, শীতকালীন সবজি, তেল ফসল, ডাল ফসল, গম ও ভুট্টা। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মুহম্মদ আরিফ চৌধুরী বলেন, কৃষির তিন মৌসুমে ভিন্ন ভিন্ন জমি পতিত থাকে। এক মৌসুমে বেশি হলে অন্য মৌসুমে কমে যায়। তবে খরিপ-১ মৌসুমে পতিত জমির পরিমাণ বেশি থাকে। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মুহম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, চট্টগ্রাম জেলায় বছরব্যাপী মৌসুমি পতিত জমির পরিমাণ ১৪ হাজার ১৫৬ হেক্টর। তবে আমরা প্রতিনিয়তই আবাদি জমি বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে থাকি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সারাদেশের অনাবাদি জমি খুঁজে বের করে আবাদযোগ্য করে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন। চট্টগ্রামে পতিত জমিগুলো আবাদযোগ্য করে তোলা হবে। চট্টগ্রামে বছরব্যাপী পতিত জমি নির্ধারণ থাকলেও মৌসুম ঘুরে আসতেই সে পতিত জমির পরিমাণ কমে এবং বাড়ে।

মুহম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, আবাদি করতে জমির ধরন অনুযায়ী প্রণোদনাসহ নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। তাছাড়া, সেচ সুবিধা বৃদ্ধির জন্য নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় সৌরচালিত সেচ ব্যবস্থা স্থাপন এবং সেচের জন্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সেচ কাজ পরিচালনা সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর