দেশে যখন গমের বাজারে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা, তখন জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে রাশিয়া থেকে টনপ্রতি ৪৩০ ডলার মূল্যে ৫ লাখ টন গম আমদানি করা হচ্ছে। ১০টি জাহাজে রাশিয়া থেকে আনা হচ্ছে এসব গম। এরই মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী মোংলা বন্দরে আসা দুটি জাহাজ থেকে ৪২ হাজার টন গম খালাস হয়েছে। এ ছাড়া ৫ লাখ টন গমের ৪০ শতাংশ খালাস হচ্ছে মোংলা বন্দরে। বাকি ৬০ শতাংশ খালাস হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে রাশিয়া থেকে আরও একটি গমবাহী জাহাজ দেশে আসবে। রাশিয়া থেকে ৫ লাখ টন গম দেশের বাজারে এলে অস্থিরতা কেটে যাবে বলে জানিয়েছে খাদ্য বিভাগ। খাদ্য বিভাগ ও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশে বছরে গমের চাহিদা ৭৫ লাখ টন। দেশে উৎপাদন হয় ১০ লাখ টন। বাকি ৬৫ লাখ টনই আমদানি করতে হয় ভারত, বুলগেরিয়া, ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে। দেশে সরকারিভাবে আমদানিকৃত গমের ৪০ শতাংশ খালাস হচ্ছে মোংলা বন্দরে। বাকি ৬০ শতাংশ খালাস হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরে। চলতি বছরের ১১ মাসে চারটি বিদেশি জাহাজে করে মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে ৮৪ হাজার টন গম। নতুন করে রাশিয়া থেকে জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে আমদানি হচ্ছে আরও ৫ লাখ টন গম। চুক্তি অনুযায়ী ১০টি জাহাজে রাশিয়া থেকে আনা হবে এসব গম। গত সপ্তাহে মোংলা বন্দরে রাশিয়া থেকে দুটি জাহাজে আমদানিকৃত গমের মধ্যে ৪২ হাজার টন খালাস হয়েছে। রাশিয়া থেকে গমবাহী সেই দুটি বিদেশি জাহাজের শিপিং এজেন্টের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ এরফান জানান, রাশিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের জিটুজি চুক্তি অনুযায়ী ৫ লাখ টন গম আমদানি হচ্ছে।
এই গমের দুটি চালান গত সপ্তাহে মাল্টা পতাকাবাহী এমভি শ্রিলাক ও লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী এমভি লিলা নামে দুটি জাহাজে আসা ৪২ হাজার টন গম মোংলা বন্দরে খালাস হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এই বন্দরে আরও একটি গমের চালান আসবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কমডোর মো. ওয়াদুদ তরফদার জানান, মোংলা বন্দরের মাধ্যমে গত ৬ মার্চ ভারত থেকে এমভি বাল্ক ম্যানারা, ১ জুন এমভি ইমানুল, ২৩ অক্টোবর রাশিয়া থেকে এমভি শ্রিলাক ও ৮ নভেম্বর এমভি লিলা নামে বিদেশি জাহাজে করে গম আমদানি হয়েছে। বন্দরের আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে এই গম খালাস করা হয়েছে।