শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অংশীদারিত্বের

-------- প্রণয় ভার্মা

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক রক্তের ও অংশীদারিত্ব এবং প্রয়োজনের ওপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। গতকাল রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে ৫৮তম ভারতীয় কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা (আইটেক) দিবস উদ্?যাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার ভার্মা উল্লেখ করেন, ভারতের ঘনিষ্ঠ উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশ আইটেক প্রোগ্রামে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। এ বছর সুবর্ণজয়ন্তী বৃত্তি উন্মোচনকে তিনি একটি উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করেন, যেখানে বাংলাদেশ প্রতি বছর আইটেকের জন্য ৫০০টি ডেডিকেটেড স্লট প্রাপ্ত হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ সরকারের প্রয়োজন অনুসারে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বেশকিছু টেইলর-মেড প্রোগ্রাম আয়োজন করা হয়। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের আইটেক অ্যালামনাইগণ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের দৃঢ় বন্ধন প্রদর্শন করেছেন। ভারতীয় হাইকমিশনার জানান, আইটেক ভারত সরকারের একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম, ভারতের উন্নয়ন সহায়তা কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি বিশ্বের ১৬০টিরও বেশি দেশে ভারতের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা এবং যথাযথ প্রযুক্তির সুবিধা প্রদান করে আসছে। প্রতি বছর, অ্যাকাউন্টস, অডিট, সুশাসন অনুশীলন, ব্যবস্থাপনা, এসএমই, গ্রামীণ উন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য, সংসদীয় বিষয়, বিচার বিভাগ ইত্যাদি।

 নির্বাচন ব্যবস্থাপনা, আইটি, ডেটা অ্যানালিটিক্স, রিমোট সেন্সিং ও রিনিউয়েবল এনার্জির মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ কোর্সের জন্য আইটেক অংশীদার দেশগুলোকে প্রথম সারির ভারতীয় ইনস্টিটিউটসমূহে ১০ হাজারেরও বেশি প্রশিক্ষণ স্লট দেওয়া হয়ে থাকে। আইটেক সহযোগিতার অধীনে বাংলাদেশ অগ্রণী ও সুযোগ্য অংশীদার। এমনকি ২০২০-২১ সালে কভিড মহামারিও এই উৎসাহ হ্রাস করতে পারেনি, তখনো ই-আইটেকের অধীনে ভার্চুয়ালি কয়েকটি কোর্সের আয়োজন করা হয়েছিল। সাড়ে ৪ হাজারের বেশি তরুণ বাংলাদেশি প্রফেশনাল আইটেক প্রোগ্রামের অধীনে ভারতে এ জাতীয় বিশেষায়িত স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি কোর্স করেছেন। এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাংলাদেশের সর্বাধিক প্রতিভাধরদের সঙ্গে সেরা ভারতীয় অনুশীলনগুলো সহযোগিতা করার সুযোগ দেয়। ফলে, বিশেষ করে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উভয় ক্ষেত্রেই অসাধারণ অগ্রগতি সাধনকারী বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে ভারত সমানভাবে লাভবান হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথিদের পাশাপাশি নানা ক্ষেত্র থেকে প্রায় ২৫০ জন আইটেক অ্যালামনাই উপস্থিত ছিলেন। বিশিষ্ট অ্যালামনাইদের মাঝে কয়েকজন ভারতে তাদের প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেন। ভরতনাট্যম ও কত্থক নৃত্যের যুগলবন্দির একটি ছোট সাংস্কৃতিক আয়োজনের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর