বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বিএনপির উদ্দেশ্য ভালো নয় : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির উদ্দেশ্য ভালো নয় : তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির উদ্দেশ্য ভালো নয়। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই তারা ময়দান ছেড়ে নয়াপল্টনের রাস্তায় সমাবেশ চায়। নয়াপল্টনে ব্যস্ত রাস্তায় সমাবেশ করার উদ্দেশ্য হচ্ছে গাড়িঘোড়া ভাঙচুর করা যাবে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে, জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি করা যাবে। গতকাল রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত তামাকবিরোধী মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। উন্নয়ন সমন্বয়ের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন। ‘আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি তাদের ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ মাঠে নয়, নয়াপল্টনের রাস্তায় করতে চায়’-এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকা শহরে এবং আশপাশে এত মাঠ থাকতে উনারা নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়, উদ্দেশ্য কী! এর পেছনে হীন উদ্দেশ্য আছে।

‘কোনো বাধাই বিএনপির ১০ ডিসেম্বর সমাবেশকে ঠেকাতে পারবে না’- মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আমরা তো কাউকে কোনো বাধা দিতে চাইনি এবং বাধা দিলে তারা সমাবেশ করতে পারত না। বরং বাধা তারা আমাদের দিয়েছিল। বিএনপি আমাদের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে, আমাদের বিভিন্ন সমাবেশে দেশব্যাপী বোমা হামলা চালিয়েছে, বহু মানুষকে হত্যা করেছে। অথচ তাদের মিটিংয়ে কি আজ পর্যন্ত একটি পটকা ফুটেছে! একটা মিটিং প- করতে দুটি পটকাই যথেষ্ট। যেদিন সভা হয় তার দুই-তিন দিন আগে তিন-চারটা পটকা ফুটলেই তো মিটিং প-। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সর্বত্রভাবে সহায়তা করছি, যাতে তারা ভালোভাবে সমাবেশ করতে পারে এবং তারা ভালোভাবে সমাবেশ করছে।

জঙ্গিবাদ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এদেশে জঙ্গিবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও অর্থদাতা হচ্ছে বিএনপি। বেগম জিয়া জঙ্গিদের গ্রেফতারের বিরোধিতা করেছিলেন এবং বিএনপির জোটের মধ্যেই জঙ্গিগোষ্ঠী আছে। আজকে জঙ্গিদের আস্ফালনের সঙ্গে মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্য এক সূত্রে গাঁথা। তারা দেশটাকে অস্থিতিশীল করতে চায়। কারণ তারা চায় ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে। কিন্তু বিশ্বে যখন যুদ্ধ চলছে, বিশ্ব অর্থনীতি যখন টলটলায়মান, তন্মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি মজবুত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে এবং মির্জা ফখরুল সাহেব, রিজভী সাহেব, গয়েশ্বর বাবু তারা যাই বলুক না কেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট এসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বলে গেছেন। বাংলাদেশ এই সংকটের মধ্যেও যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, এটি অন্য দেশের জন্য উদাহরণ। তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব তো শিক্ষিত মানুষ। আমি আশা করব, তিনি একটু পড়াশোনা করবেন, বিশ্ব প্রেক্ষাপট দেখবেন আর বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ সম্পর্কে কী বলছেন সেটাও শুনবেন।

তামাকবিরোধী ওই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সিগারেটের পাশাপাশি এখন উচ্চমধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত ছেলেমেয়েদের সিসা পান, ইলেকট্রনিক সিগারেট পান একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অপকারিতা ছাড়া এগুলোর কোনো উপকারিতা নেই। এটা রোধ করতে গণমাধ্যম ভূমিকা রাখতে পারে। এগুলোর ক্ষতিকর দিক নিয়ে প্রতিবেদন করতে পারে। তামাকজাত পণ্য আমদানি ও বিপণন নিয়ন্ত্রণ এবং বিশেষ করে অনলাইনে অর্ডার বন্ধ করতে এসব বিষয়ে কর্মরত বেসরকারি সংস্থাগুলোকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে চিঠি দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

আয়োজক সংস্থার গবেষণা পরিচালক আবদুল্লাহ নদভী মূল প্রবন্ধ ও জ্যেষ্ঠ প্রকল্প সমন্বয়ক শাহীন উল আলম স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

সর্বশেষ খবর