বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত

অন্যান্য পণ্যের মতো মিলছে অ্যান্টিবায়োটিক : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘দেশের ফার্মেসিগুলোতে পণ্যের মতো অ্যান্টিবায়োটিক মিলছে। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে স্বীকৃত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয় না। অথচ আমাদের ফার্মেসিতে যত্রতত্রই মিলছে। এটি রোধে আমাদের আইন আছে, কিন্তু ব্যবস্থা নেই।’ গতকাল বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ উপলক্ষে রাজধানীর হোটেল মেরিডিয়ানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। জাহিদ মালেক বলেন, ‘অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারকারীদের অধিকাংশ মানুষ কোর্স পূর্ণ করে না। আবার যেসব অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে, তাদের অধিকাংশের প্রয়োজন নেই। গ্রামাঞ্চলে এটি সবচেয়ে বেশি। সেখানে যেসব গ্রামীণ ডাক্তারের স্বীকৃতি নেই, তারা অ্যান্টিবায়োটিক দিচ্ছেন। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে, কিন্তু তাতেও হচ্ছে না। এটিতে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। এর জন্য কীভাবে অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার হচ্ছে, সেটি সাধারণ মানুষকে জানাতে হবে।’ সচেতনতা বাড়ানোর বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কখন অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা উচিত, তা মানুষকে জানাতে হবে। এর জন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে।

ব্যবস্থাপত্র ছাড়া যাতে বিক্রি না হয়, সেটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। প্রয়োজনে ফার্মেসি বন্ধ করে দিতে হবে। পোলট্রি খামারগুলোতে ব্যাপক আকারে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী যতটুকু ব্যবহার করা উচিত, তার বাইরে যাতে যাতে না হয় তা দেখতে হবে। বর্জ্যরে কারণে মাছ-মাংস খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরে জটিল ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করছে। এতে করে আর অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না।

ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহম্মদ ইউসুফ বলেন, অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার অনেক বেশি। এটি রোধে শক্ত আইনের বিকল্প নেই। ইতোমধ্যে কোয়ালিটি ঠিক না রাখায় ২৭ কোটি কোম্পানির নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। অযাচিত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের আইন প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামী সংসদে সেটি পাস হবে। দেশের ওষুধ বেচাকেনায় জড়িতদের ৬৬ শতাংশই অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার সম্পর্কে জানেন না। এ জন্য লাল চিহ্নযুক্ত আলাদা প্যাকেজিং করা হচ্ছে, যাতে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ সহজেই শনাক্ত করতে পারে। একই সঙ্গে স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের সচেতনতায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থাপত্র ও ফুল ডোজ ছাড়া বিক্রি বন্ধ নিশ্চিত করতে হবে। তবে শুধু আইন করে এটি রোধ করা সম্ভব নয়। মানুষের সচেতনতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর