শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
খুলনার রাজনীতি

শক্ত অবস্থান চায় আওয়ামী লীগ বিএনপির লক্ষ্য আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

শক্ত অবস্থান চায় আওয়ামী লীগ বিএনপির লক্ষ্য আন্দোলন

খুলনায় সাংগঠনিকভাবে শক্ত অবস্থান ধরে রাখতে মাসব্যাপী কর্মসূচি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে তারা রাজপথে সাংগঠনিক শক্তির জানান দিতে শহরজুড়ে গণমিছিল করেছে। সিনিয়র নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠন সক্রিয় থাকলে দেশে এমন কোনো সংগঠন নেই যারা আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। অপরদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হয়রানি, গ্রেফতার ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিএনপি রাজপথে আন্দোলনে সক্রিয় রয়েছে। বিএনপি নেতারা বলছেন, ব্যাংকের টাকা পাচার হয়েছে, টাকার অভাবে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করা যাচ্ছে না। বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। আবার প্রতিবাদে আন্দোলন করতে গেলে নেতা-কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। এখন সাধারণ মানুষ জেগে উঠেছে, বিএনপি চায় ধারাবাহিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকতে। জানা যায়, খুলনায় ২২ অক্টোবর বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে বিএনপি গণসমাবেশ করলে সাংগঠনিক চ্যালেঞ্জে পড়ে আওয়ামী লীগ। এরপরই নিজ দলের নেতা-কর্মীদের চাঙা করতে কর্মসূচি দেওয়া হয়। ওয়ার্ড ইউনিট, থানা ও মহানগর পর্যায়ের সব কর্মসূচিতে অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সম্পৃক্ত করা হয়। সর্বশেষ মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল শহরজুড়ে গণমিছিল করে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া ৫ থেকে ১৬ ডিসেম্বর খুলনায় ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রের কারণে গণতন্ত্র আজ হুমকির সম্মুখীন। তারা সরকার এবং দেশকে অশান্ত করতে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তাদের এ চক্রান্তকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা এত দুর্বল নয় যে, বিএনপির চ্যালেঞ্জে ভয় পেয়ে যাবে। দল যদি সক্রিয় থাকে, প্রত্যেকটি অঙ্গসংগঠন যদি সক্রিয় থাকে বাংলাদেশে এমন কোনো সংগঠন নেই আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। তাদের ষড়যন্ত্র সফল হবে না। মাসব্যাপী কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে আমরা প্রমাণ করতে চাই- পরাজিত শক্তিরা আর কোনো দিন ষড়যন্ত্র করে এদেশে সফল হতে পারবে না।

অপরদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক সংকটকে কাজে লাগিয়ে আন্দোলনে জনসাধারণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিতে মাঠে সক্রিয় রয়েছে বিএনপি। নগর বিএনপি আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা বলেন, দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে আন্দোলনে নামলে নেতা-কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। খুলনার ফুলতলার বিএনপি নেতা সাজ্জাদুজ্জামান জিকোকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে এখন বিএনপির আন্দোলনে দেশের মানুষ সাড়া দিয়েছেন। জনগণ রাজপথে নেমে এসেছেন। আর ভয়ভীতি দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কণ্ঠকে স্তব্ধ করা যাবে না। তিনি সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কমিটি গঠনসহ ধারাবাহিক আন্দোলন কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর