রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

শিল্পকলায় রবীন্দ্রনাথের ‘রক্তকরবী’ মঞ্চস্থ

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

শিল্পকলায় রবীন্দ্রনাথের ‘রক্তকরবী’ মঞ্চস্থ

রবীন্দ্রনাথের অনবদ্য কীর্তি রক্তকরবী নাটক মঞ্চায়ন করেছে নাটকের শীর্ষস্থানীয় দল প্রাঙ্গণেমোর। এটি দলের চতুর্থ প্রযোজনা। গতকাল সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হয় নাটকটি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত এই নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন নূনা আফরোজ। যক্ষপুরী নামের একস্থানে মাটির নিচে যক্ষের ধন পোঁতা আছে। তার সন্ধান পেয়ে পাতালে সুড়ঙ্গ-খোদাই চলছে। এ জন্যেই লোকে আদর করে একে যক্ষপুরী নাম দিয়েছে। এই নাটকে এখানকার সুড়ঙ্গ-খোদাইকরদের সঙ্গে যথাকালে আমাদের পরিচয় হবে। যক্ষপুরীর রাজার প্রকৃত নাম সম্বন্ধে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতের ঐক্য কেউ প্রত্যাশা করে না। এইটুকু জানি যে, এঁর একটি ডাকনাম আছে- মকররাজ। যথাসময়ে লোকমুখে এই নামকরণের কারণ বোঝা যাবে। রাজমহলের দেওয়ালে একটি জালের জানালা আছে। সেই জালের আড়াল থেকে মকররাজ তার ইচ্ছামতো পরিমাণে মানুষের সঙ্গে দেখাশোনা করে থাকেন। এই রাজ্যের যারা সর্দার তারা যোগ্য লোক এবং যাকে বলে বহুদর্শী। রাজার তারা অন্তরঙ্গ পর্ষদ। তাদের সতর্ক ব্যবস্থাগুণে খোদাইকরদের কাজের মধ্যে ফাঁক পড়তে পায় না এবং যক্ষপুরীর নিরন্তর উন্নতি হতে থাকে। এখানকার মোড়লরা এক সময়ে খোদাইকর ছিল, নিজগুণে তাদের পদবৃদ্ধি এবং উপাধিলাভ ঘটেছে। কর্মনিষ্ঠতায় তারা অনেক বিষয়ে সর্দারদের ছাড়িয়ে যায়। যক্ষপুরীর বিধিবিধানকে যদি কবির ভাষায় পূর্ণচন্দ্র বলা যায়। তবে তার কলঙ্ক- বিভাগের ভারটাই প্রধানত মোড়লদের ওপরই পড়ে। অন্যদিকে, জেলেদের জালে মাঝে মধ্যে অখাদ্য জাতের জলচর জীব আটকা পড়ে। সেসব জলচর জাল ছিঁড়ে দিয়ে যায়। এই নাট্যের ঘটনাজালের মধ্যে নন্দিনী নামক একটি কন্যা তেমনিভাবে এসে পড়ে। মকররাজ যে বেড়ার আড়ালে থাকেন সেটিকে এই মেয়ে টিকতে দেয় না। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকটির কাহিনি।

বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন নূনা আফরোজ, অনন্ত হিরা, রামিজ রাজু, আউয়াল রেজা, সাগর রায়, নিজাম লিটন, সবুক্তগীন শুভ, জুয়েল রানা, সুজয়, ঝুমুর, সুমন, বাঁধন সরকার, মাছুম, পার্থ, রুমা প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর