বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

তিন সমস্যায় বিপাকে রাবি

সার্বিক কার্যক্রম ব্যাহত, নেই কার্যকর পদক্ষেপ

রায়হান ইসলাম, রাবি

তিন সমস্যায় বিপাকে রাবি

লোকবল সংকট, অপর্যাপ্ত আবাসন, ডাইনিংয়ে খাবারের নিম্নমান, ইন্টারনেট সমস্যা এবং ক্যাম্পাসে মাদক ও চোরের উৎপাত নিয়ে বিপাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিনিয়ত ব্যাহত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম। তবে এসব বিষয়ে প্রশাসনের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টরা। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ আছে। তবে বিতর্ক ছাপিয়ে নতুন শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। আশা করি দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান হবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহানের বিতর্কিত নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক নিয়োগ কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দীর্ঘদিন এই কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সেক্টরে জনবল সংকট দেখা দিয়েছে। গুটিকয়েক শিক্ষক ও কর্মচারী দিয়ে চলছে তিনটি ইনস্টিটিউট ও পাঁচটি বিভাগ। এ ছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারী সংকটে ভোগান্তি বাড়ছে বিভিন্ন দফতরে। এদিকে অর্ধেক জনবল দিয়ে চলছে মেডিকেল সেন্টার। সেখানে কোনো গাইনি চিকিৎসক নেই। ফলে মিলছে না যথাযথ চিকিৎসাসেবা। তবে দুই বছর আগে এই সেন্টারে ১৩ জনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার কারণে নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার দফতরের তথ্যমতে, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ১ হাজার ৪৯০ সৃজিত শিক্ষক পদের মধ্যে শূন্য পদ ৪৩৫টি। ৭৯২ জন কর্মকর্তার মধ্যে শূন্য পদ ২০০টি, সহায়ক কর্মচারী ১ হাজার ৪২ জনের মধ্যে শূন্য পদ ২৫১টি এবং ১ হাজার ৯০৯ জন সাধারণ কর্মচারী মধ্যে শূন্য পদ রয়েছে ৯০৯টি। এদিকে বিভাগ ও দফতর ছাড়াও হলগুলোতে রয়েছে নানা সমস্যা। শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে আসন সংখ্যা সীমিত। ফলে অনেক ছাত্রীকে গণরুমে গাদাগাদি করে থাকতে হয়।

ছাত্রদের হলেও রয়েছে প্রশাসনিক জটিলতা, সিনিয়র ও দলীয় নেতা-কর্মীদের আধিপত্যসহ নানা সমস্যা। ফলে সেখানেও রয়েছে ভোগান্তি। এ ছাড়া হলে খাবার ও ইন্টারনেট সমস্যা দীর্ঘদিনের। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দ্রব্যসামগ্রীর দামের কথা চিন্তা করে দুই বেলা খাবারের দাম ৮ টাকা বাড়িয়েছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মান বাড়েনি। আবার রুমে ওয়াইফাই দুর্বল গতির হওয়ায় সুষ্ঠুভাবে কোনো কাজ শেষ হয় না। ফলে টাকা দিয়ে ডেটা কিনতে হয়। অথচ প্রতি মাসে ইন্টারনেট ফি দেওয়া লাগে। তবে এক সার্ভারে অধিক ব্রাউজিংয়ের কারণে এই সমস্যা হয় বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে ক্যাম্পাসে বেড়েছে মাদক সেবন ও চোরের উৎপাত। যা প্রতিনিয়ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রক্টর দফতরের তথ্যমতে, চলতি মাসে প্রায় ২০টি সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে এবং গত তিন মাসে ক্যাম্পাস থেকে মাদক সেবনের অভিযোগে শতাধিক শিক্ষার্থীসহ বহিরাগত আটক হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর