শুক্রবার, ৫ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চট্টগ্রামে কোচিং বাণিজ্য

নজরদারি না থাকায় বেপরোয়া

ইমরান এমি, চট্টগ্রাম

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার   নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নগরের কোচিংপাড়া খ্যাত চকবাজারে চলছে কোচিং বাণিজ্য। এসব কোচিং সেন্টারে নেওয়া হচ্ছে ক্লাসও। কোচিং সেন্টারগুলোর সঠিক তদারকি ও নজরদারি না থাকার কারণে বেপরোয়া হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আবদুল মালেক বলেন, পরীক্ষার সময়ে কোনো স্কুল-কলেজের শিক্ষক কোচিং সেন্টার পরিচালনা করতে পারবেন না। এসএসসি পরীক্ষার সময় সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার জন্য মন্ত্রণালয় নির্দেশনা দিয়েছে, অবশ্যই সেটা মানতে হবে। যেসব এলাকায় কোচিং সেন্টার খোলা আছে, আমাদের কাছে তথ্য থাকলে আমরা অভিযান চালাব।

সরেজমিন নগরের চকবাজার গুলজার এলাকায় দেখা যায়, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে কোচিং সেন্টার। বাহির থেকে তালাবদ্ধ মনে হলেও ভিতরে চলছে ক্লাস। তার মধ্যে সায়েন্স পয়েন্ট, সায়েন্স পিনিক, মডুলাস একাডেমিক কোচিং, তইমুর স্যারের পদার্থ বিজ্ঞান, নুরুল ইসলামের পদার্থ বিজ্ঞান, কনক স্যারের রসায়ন, বাকলিয়া কলেজের পলাশ স্যারের রসায়ন, সাফায়েত স্যারের উচ্চতর গণিতসহ প্রায় সব কোচিং সেন্টার ও ব্যাচ। এসব কোচিং সেন্টারের একেকটি রুমে ১০-১৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এক ঘণ্টা করে ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষকরা। কোচিং সেন্টারগুলোতে যারা শিক্ষক হিসেবে আছেন তার মধ্যে বেশির ভাগই বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও ভার্সিটি পড়ুয়া শিক্ষার্থী। কয়েকজন কোচিং সেন্টারের শিক্ষক দাবি করেছেন, স্থানীয় প্রভাবশালী মহলকে ম্যানেজ করে এ কোচিং সেন্টার খোলা রাখা হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে মাসখানেক কোচিং সেন্টার বন্ধের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কেন খোলা রাখা হয়েছে, সেই প্রশ্নের নেই কোনো সদুত্তর।

কেয়ারীর সামনে দেখা হয় দু’জন স্কুল পড়ুয়া কিশোরের সাথে। তারা বলেন, আমাদের কোচিং সেন্টার খোলা। আমরা গিয়াস স্যারের কাছে কোচিং করি। তবে কোন বিষয়ে কোচিং করে তা জানতে চাইলে তারা নতুন ভর্তি হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। কোচিং সেন্টার বন্ধে সরকারি নির্দেশনা থাকার পরও কোচিং কর্তৃপক্ষ খোলা রাখায় তারা ক্লাসে আসছে বলে দাবি অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের।

 

সর্বশেষ খবর