চিকিৎসা অবহেলায় খুলনার তেরখাদায় এক প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রবিবার রাতে তেরখাদা উপজেলা হাসপাতাল রোডে আশার আলো ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, তেরখাদার বারাসাত গ্রামের লেভিনা আক্তার (২২) নামে প্রসূতির প্রসব বেদনা উঠলে রবিবার দুপুরের পর তাকে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এ সময় প্রসূতির শারীরিক পরীক্ষা করে তারা জরুরি অপারেশনের কথা বলেন। কিন্তু অপারেশন শুরুর কিছুক্ষণ পরই ক্লিনিকের লোকজন জানায় নবজাতক মারা গেছে। প্রসূতির চাচা বারাসাত হাই স্কুলের সভাপতি এস এম এস খবিরুল ইসলাম জানান, নবজাতকের মৃত্যুর প্রায় তিন ঘণ্টা পর ক্লিনিকের লোকজন লেভিনাকে (প্রসূতি) দ্রুত খুলনায় আড়াইশ বেড হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। কিন্তু এই তিন ঘণ্টা প্রসূতির অবস্থা সম্পর্কে আমাদের কিছুই জানানো হয়নি।
রাত ৮টার দিকে প্রসূতিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা জানান আরও দু-আড়াই ঘণ্টা আগেই সে মারা গেছে। মৃত লেভিনা আক্তার দীঘলিয়ার মোল্লাডাঙ্গা গ্রামের মো. সোহাগের স্ত্রী। সন্তান প্রসবের পূর্বে তিনি কয়েকদিন ধরে তেরখাদার বারাসাত গ্রামের বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
রোগীর স্বজনরা জানান, দ্রুত প্রসূতিকে খুলনায় আনার সময় ক্লিনিকে চিকিৎসার কাগজপত্র চাইলেও তারা কৌশলে না দিয়ে সটকে পড়েন। ক্লিনিকের চিকিৎসা অবহেলার কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্বজনা বিচার দাবি করেন।তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহুরুল আলম জানান, সিজারের পর রোগীর মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা অবহেলায় মৃত্যু কি না তদন্তের পর জানা যাবে। এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।