তারল্য সংকট কাটাতে এক দিনেই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ২৫ হাজার ৫২১ কোটি টাকা ধার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কারফিউ শিথিল করায় গত বুধবার ব্যাংক খোলার দিনে তাদের এই অর্থ ধার নিতে হয়েছে বলে গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নগদ টাকার সরবরাহ ঠিক রাখতে টাকা ধারা দেওয়া হয়েছে। নগদ টাকার চাহিদা পূরণে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলো ধার নিয়ে নিয়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। অন্যান্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়েছে বাকি টাকা। ধার নেওয়া অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে থাকা হিসাবে ঘাটতি ও নগদ জমায় (সিআরআর) ঘাটতি হিসেবে ব্যবহার করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। অনেক ব্যাংক আবার নগদ টাকা নিয়ে গ্রাহকের চাহিদাও মেটায়।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, গত বুধবার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক রেপো, অ্যাসিউরড রেপো, অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট (এএলএস) ও ইসলামী ব্যাংকগুলোর জন্য ইসলামিক ব্যাংকস লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটির (আইবিএলএফ) নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। নিলামে সাত দিন মেয়াদি রেপো সুবিধার আওতায় ১৪টি ব্যাংক ও দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার ৭ কোটি টাকা, ১৪ দিন মেয়াদি রেপো সুবিধার আওতায় ৯টি ব্যাংককে ২ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা, ২৮ দিন মেয়াদি রেপো সুবিধার আওতায় ১২টি ব্যাংক ও দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ৭ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়। ১৮০ দিন মেয়াদি অ্যাসিউরড রেপো সুবিধার আওতায় তিনটি ব্যাংককে ৫ হাজার ৬৯১ কোটি টাকা এবং ১ দিন মেয়াদি অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট আওতায় ১১টি ডিলার ব্যাংককে ৩ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১৪ দিন মেয়াদি ইসলামিক ব্যাংকস লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটির আওতায় ১টি ব্যাংককে ৪৯৭ কোটি টাকা ও ২৮ দিন মেয়াদে পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে ৯৮৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে বুধবারে ২৫ হাজার ৫২১ কোটি টাকা ধার দেওয়া হয়। খাত-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে নজিরবিহীন সহিংসতার জেরে টানা পাঁচ দিন ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় অ্যাপভিত্তিক লেনদেন বন্ধ ছিল এবং এটিএম বুথে নগদ টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় বুধবার ব্যাংক খোলার দিনই তারল্য সংকটে ছিল কিছু ব্যাংক।