চট্টগ্রামে তৃতীয় দফায় সাক্ষ্য গ্রহণের দিনেও আসেননি চার সাক্ষী। নয় বছর পার হলেও শেষ হয়নি চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেনের চালান জব্দ মামলার বিচারকাজ। ২০১৫ সালে কোকেন জব্দের ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও চোরাচালান আইনে দুটি মামলা হয়। কারাগারে রয়েছেন ১০ আসামির মধ্যে একজন। কোকেনের মতো মাদক উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচারকাজ দ্রুত শেষ করা দরকার বলে মনে করছেন সিনিয়র আইনজীবীরা। চলতি বছরের মধ্যে এ মামলার বিচারকাজ শেষ হওয়ার আশা রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আবদুর রশিদ বলেন, ‘মামলায় নতুন করে চার সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আদালতে আবেদন করার পর আদালত মঞ্জুর করেন। গতকাল তৃতীয় দফায় চার সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হলেও কেউ আসেননি। এ ছাড়া মামলার এক আসামির জন্য হাই কোর্টে স্টে আছে।’
জানা যায়, ২০১৫ সালের ৬ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে সূর্যমুখী তেলের চালান জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। ২৭ জুন তেলের চালানের ১০৭টি ড্রামের মধ্যে একটির নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। বলিভিয়া থেকে আসা চালানটির প্রতিটি ড্রামে ১৮৫ কেজি সূর্যমুখী তেল ছিল। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাসায়নিক পরীক্ষাগারসহ চারটি পরীক্ষাগারে তেলের চালানের দুটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। নগরীর বন্দর থানায় ২০১৫ সালের ২৭ জুন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও চোরাচালান আইনে দুটি মামলা করে পুলিশ। আসামি করা হয় চালানটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদসহ ১০ জনকে। ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল মাদক মামলায় ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।