মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নাশকতাকারীদের চিহ্নিতকরণ ও আইনের আওতায় আনার ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য ও সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করতে হবে। কোনো প্রকৃত অপরাধী যাতে ছাড়া না পায় এবং কোনো নিরীহ ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। গতকাল এক জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সরকারি চাকরিতে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সহিংসতা ও নাশকতায় প্রাণহানি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নাশকতাকারীদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান পরিচালনা করছে। এক্ষেত্রে, নির্ভরযোগ্য ও সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই শুধু প্রকৃত অপরাধী শনাক্তকরণ, বিচারের আওতায় আনয়ন এবং নিরীহ কোনো ব্যক্তি যাতে হয়রানির সম্মুখীন না হন সে বিষয়ে আহ্বান জানাচ্ছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, সহিংসতায় বেশ কিছু প্রাণহানি এবং জাতীয় সম্পদ বিনষ্টের ঘটনা ঘটেছে, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও মানবাধিকার লঙ্ঘন। সবার সার্বিক প্রচেষ্টায় অতিসত্বর জননিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং স্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। জনগণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা এবং নাগরিক অধিকার নিশ্চিতকরণে সবাইকে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতার ভিত্তিতে কাজ করতে হবে।