ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হেফাজতে থাকা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কদের দেখতে গিয়েছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ। তবে ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকায় তাকে সমন্বয়কদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। কবে ছাড়া হবে সে বিষয়েও সদুত্তর পাননি বলে জানিয়েছেন তিনি। সোহেল তাজ বলেছেন, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে সম্পদ ধ্বংস হয়েছে তা জনগণের টাকায় আবার করা যাবে। কিন্তু প্রাণের তুলনায় এ সম্পদ কিছুই নয়। আর একটি গুলিও যাতে সাধারণ ছাত্রদের ওপর না ছোড়া হয়। গতকাল বিকাল ৫টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি পুলিশ কার্যালয়ে প্রবেশ করেন সোহেল তাজ। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে বের হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। বলেন, আমি সরাসরি জিম থেকে চলে এসেছি বিবেকের তাড়নায়। দেশের ওপর সবার হক আছে, এ জন্য এসেছি। ছাত্রছাত্রীদের বুকে যেন আর একটা গুলিও না করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ, প্রতিটা প্রাণহানির বিচার করতে হবে।
আমি তিনটি প্রশ্ন করেছিলাম হারুন সাহেবকে। একটি প্রশ্ন ছিল সেইফ কাস্টডি নাকি গ্রেপ্তার। সেইফ কাস্টডি জানানো হলে ছয় সমন্বয়কদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষের আদেশের কথা বলে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। বলেছেন, এ ছয় সমন্বয়কারী যেহেতু তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন, সে কারণে তাদের নিরাপদ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
সোহেল তাজ আরও বলেন, ‘এ কথা শুনে আমি প্রশ্ন করেছিলাম, আপনারা কীভাবে বুঝলেন তারা তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা কি আপনাদের জানিয়েছিল, অনুরোধ করেছিল?’ আমাকে তখন তিনি বলেছেন, না। উনারা বুঝতে পেরেছেন মনিটরিং (নজরদারি) করে।
সোহেল তাজ বলেন, ‘আমার তৃতীয় প্রশ্ন ছিল, সমন্বয়কদের কখন নিরাপদ হেফাজত থেকে মুক্তি দেওয়া হবে? জবাবে ডিবিপ্রধান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যখন তাকে নির্দেশনা দেবেন, তখনই তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।’
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ দেশ তোমাদের। আশা ছাড়া যাবে না। সব সময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে।