রংপুরে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের রবিবার দিনভর সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ৪ জনের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে এসব লাশ হস্তান্তর করা হয়। তবে কারও পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত মামলা করা হয়নি। রবিবারের সহিংসতায় রংপুর নগরী ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ে। গঙ্গাচড়া উপজেলায় উপজেলা পরিষদ ভাঙচুর। মিঠাপুকুর উপজেলায় ইউএনও অফিসসহ সরকারি কয়েকটি ভবন ভাঙচুর করা হয়। পীরগঞ্জে আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। বদরগঞ্জে আওয়ামী লীগের এমপি ডিউক চৌধুরীর বাড়িসহ উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর চেয়ারম্যানের বাসভবন ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়াও অন্যান্য উপজেলায় সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এদিকে রমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রবিবারের সহিংসতায় নিহত সিটি করপোরেশনের ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও পরশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারাধন রায়, হারাধনের ড্রাইভার শ্যামল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খায়রুল আলম সবুজ ও মাহামুদুল হাসানের লাশ সোমবার দুপুরের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।
উল্লেখ্য, গতকাল অনির্দিষ্টকালের কারফিউ চলাকালীন সময়ে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক ছিল। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বের হতে দেখা যায়নি। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে দেখা গেছে। সন্দেহজনক হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।