আয়নাঘর বা বন্দিশালা ভেঙে গুমের শিকার ব্যক্তিদের ফিরিয়ে আনতে হবে। একই সঙ্গে জড়িতদের মানবতাবিরোধী অপরাধ আইনে বিচার করতে হবে। বিচারব্যবস্থা, নির্বাচনকাঠামো ঢেলে সাজাতে হবে। ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। গতকাল খুলনায় মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তারা এসব দাবি জানান। খুলনা প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের খুলনা ফোকাল পারসন মুহাম্মদ নুরুজ্জামান। বক্তারা বলেন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তাঁরা বলেন, দমনপীড়ন, গণতন্ত্র-বিচারব্যবস্থা দলীয়করণ, মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে বিগত সরকার চরম সীমায় পৌঁছায়। ফলে মুক্তিকামী ছাত্র-জনতা গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারকে হটিয়ে নতুন করে স্বাধীনতা অর্জন করে।
বক্তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা-ভাঙচুরের নিন্দা জানিয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ মানুষের সাধারণ জানমালের নিরাপত্তায় সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
বক্তব্য দেন নারী নেত্রী রেহানা আখতার, সাংবাদিক এহতেশামুল হক শাওন, আবদুর রাজ্জাক রানা, নাগরিক নেতা শেখ আবদুল হালিম, অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ, ছায়াবৃক্ষের প্রধান নির্বাহী মাহবুব আলম বাদশা, ছাত্রনেতা শহিদুল ইসলাম, মানবাধিকারকর্মী ইসমত আরা কাঁকন, তুষার মাহমুদ ও কে এম জিয়াউস সাদাত।