চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহত ছাত্র-জনতার পাশে থাকতে জেলা প্রশাসন সচেষ্ট। আন্দোলনের বিভিন্ন সময়ে আহত প্রায় ৩৫ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে ও গুলিবিদ্ধ তিনজনকে উন্নত চিকিৎসায় ঢাকায় জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে প্রেরণ করা হয়েছে। আহতদের যে কোনো জরুরি প্রয়োজন সমাধান ও সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে আমাদের দুজন কর্মকর্তাকে নিয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। গতকাল বিকালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতাকে দেখতে চমেক হাসপাতালে গেলে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আহতদের চিকিৎসার পাশাপাশি সার্বিক বিষয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। তাছাড়া, চিকিৎসাধীন ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন ও পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
এ সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের প্রত্যেককে ব্যক্তিভেদে ১০ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত, মোট ২৬ জনকে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এর আগে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একজনকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স ইনস্টিটিউটে এবং একজনকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থোপেডিক রিহ্যাবিলিটেশনে (নিটোর) প্রেরণের জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়।