নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম ও প্রক্টর সিলভিয়া আহমেদের পদত্যাগের জন্য আগামী শনিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অসহযোগিতা, বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয়করণ ও নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে এ আলটিমেটাম দেন তারা। একই সঙ্গে অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ারও দাবি জানানো হয়।
গতকাল সন্ধ্যায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর থেকে ফিরে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশ থেকে ভিসি-প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে আলটিমেটাম দেওয়া হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন মাশরাফি সরকার, শাহরিয়ার হাসনাত তপু, কাওসার হাবিব প্রমুখ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার অভিযোগ এনে শিক্ষার্থীরা বলেন, তারা আমাদের আন্দোলনে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু গতকাল ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে যানবাহন সুবিধা চেয়ে পাইনি। হেঁটে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় হামলার শিকার হয়েছি। এতে নর্থসাউথের শিক্ষার্থী মাশরাফি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (এআইইউবি) শিক্ষার্থী অনি, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থী ইমরানসহ অনেকে আহত হয়েছেন। যানবাহন সুবিধা দিলে এ ঘটনা ঘটত না। এ ছাড়া গত ১৮ জুলাই যখন আমাদের ওপর হামলা হয়, এই উপাচার্য আমাদের ক্যাম্পসে ঢুকতে দেননি। আমরা আহত হয়ে আইইউবিতে চিকিৎসা নিয়েছি। ৫ আগস্ট সরকার পতনের আগমুহূর্তে পুলিশ যখন সর্বশক্তি দিয়ে আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, তখন আমরা হাত জোড় করেও বিশ্ববিদ্যালয়ে আশ্রয় নিতে পারিনি। এ অবস্থায় শনিবার বেলা ১১টার মধ্যে এই দালাল ভিসি ও প্রক্টর পদত্যাগ না করলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। এ সময় অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
মাশরাফি সরকার বলেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বঘোষিত সমন্বয়ক হয়েছে। শহীদ মিনার থেকে বক্তব্য এসেছে এসব সমন্বয়ক আমরা কখনো দিইনি, সমন্বয়কের নাম করে কেউ যদি কোথাও কোনো সুবিধা ভোগ করে, তাদের নিজ হাতে প্রতিহত করুন। সব শিক্ষার্থী সমান। এখানে কোনো সমন্বয়ক, সহসমন্বয়ক নেই।