রাজধানীর শ্যামপুরে আন্দোলনের সময় ও মিরপুর পুলিশ লাইনসে অস্ত্রাগারে মিস ফায়ারে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত দুই পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। ১২ আগস্ট মিরপুর পুলিশ লাইনসে মিস ফায়ারে গুলিবিদ্ধ পুলিশের এএসআই আল আমিন (৩১) বুধবার বিকালে মারা যান। এদিকে ৫ আগস্ট আন্দোলনের সময় আহত পুলিশ কনস্টেবল খলিলুর রহমান (৫৩) বুধবার সন্ধ্যায় মারা যান। কাফরুল থানার এসআই আনিছুর রহমান সুরতহাল রিপোর্টে উল্লেখ করেন, ১২ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৩টায় মিরপুর পুলিশ লাইনসে জমাকৃত অস্ত্র আনতে যান দারুস সালাম থানার এএসআই আল আমিনসহ অনেকেই। সেখানে এএসআই ইয়াছিন আলী নামে একজন পুলিশ সদস্যের হাত থেকে পিস্তলের গুলি বের হয়ে আল আমিনের পেটের বাঁ পাশে বিদ্ধ হয়ে পিঠ দিয়ে বেরিয়ে যায়।
গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসেন সহকর্মীরা। সেখান থেকে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকালে তিনি মারা যান। তার বাড়ি লালমনিরহাটের তিস্তা থানার গোকুন্ডা কাচারিপাড়া গ্রামে।
এদিকে শ্যামপুর থানার এসআই তোরগুল হাসান সোহাগ সুরতহাল রিপোর্টে উল্লেখ করেন, ৫ আগস্ট বিকালে শ্যামপুর থানার কনস্টেবল খলিলুর রহমানকে মারধর করে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়। আহত অবস্থায় তাকে ধানমন্ডির পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার তালতলা গ্রামে।