বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, সুচিন্তিতভাবে আমাদের কাজ করতে হবে। আমরা কোনো মিডিয়া ভাঙতে চাই না। কোনো মিডিয়া যেন আমাদের দ্বারা আতঙ্কিত না হয়, মানুষ যেন আমাদের ওপর আস্থা রাখতে পারে। গতকাল নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দলের নেতা-কর্মীদের পরামর্শ দিয়ে রিজভী আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে যারা জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করে, যারা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তারেক রহমানকে বিশ্বাস করে, তাদের নীতি-আদর্শকে অনুসরণ করে; তারা হবে জনগণের একটা নিরাপত্তার বেষ্টনী।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক প্রত্যয়ের জন্য আমরা লড়াই করেছি। আমাদের অনেক লোক শহীদ হয়েছেন; বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিশুরা জীবন দিয়েছে। পুলিশের ভাইরাল হওয়া বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে ‘একটা মারি, সেখানে আর একজন এসে দাঁড়িয়ে যায়’ উল্লেখ করেন রিজভী। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা চেয়েছেন বিচার প্রাঙ্গণে যুবলীগ-ছাত্রলীগের বিচারপতি থাকতে হবে। যারা ছাত্রলীগের ক্যাডার ছিল তাদের তিনি পুলিশে ঢুকিয়েছেন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, পুলিশ শেখ হাসিনার ইচ্ছা পূরণের জন্য যা কিছু করা দরকার তাই করেছে। বিএনপির বড় বড় নেতাদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। বিনা দ্বিধায় সেসব কাজ করেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। আমরা সবাই তাদের নাম জানি। জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসানের সঞ্চালনায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প কর্মসূচিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে সোমবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত আমির আলীকে দেখতে রাজধানীর মেরাদিয়ায় তার বাসায় যান রুহুল কবির রিজভী। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতাও পৌঁছে দেন তিনি।