চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) সাধারণ ও সংরক্ষিত মিলে কাউন্সিলর আছেন ৫৫ জন। এর মধ্যে ৩৫ জনই আত্মগোপনে। তাছাড়া, একটি হত্যা মামলায় চসিকের ২৮ কাউন্সিলরকে আসামি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কোন কোন কাউন্সিলর অফিস করছেন- তার একটি তালিকা করতে বলা হয়েছে। চসিক এ বিষয়ে একটি তালিকা তৈরি করে শিগগিরই মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে জানা যায়। গত ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকেই তারা আত্মগোপনে আছেন। কাউন্সিলররা আত্মগোপনে থাকায় বিঘ্ন ঘটছে নাগরিক সেবায়।
নাগরিকদের জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সনদ, ওয়ারিশ সনদ, চারিত্রিক সনদ ও জাতীয়তা সনদে কাউন্সিলরের স্বাক্ষর লাগে। ২০টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিস করছেন। তবে যে সব ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনুপস্থিত সেখানকার নাগরিকদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। চসিকের ৪১ ওয়ার্ডের ৫৫ কাউন্সিলরের সবাই আওয়ামী লীগ সমর্থিত।
জানা যায়, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মতে চসিক কোন কোন কাউন্সিলর অফিস করছেন না তার একটা তালিকা তৈরি করা হয়। তালিকায় দেখা যায়, সাধারণ ৪১ কাউন্সিলরের মধ্যে অফিস করছেন মাত্র সাতজন এবং ১৪ সংরক্ষিত কাউন্সিলরের মধ্যে অফিস করছেন ১৩ জন। তাছাড়া, তালিকায় উল্লেখ করা হয়, কোটা আন্দোলনে নিহত ছাত্র ওয়াসিম আকরাম হত্যার ঘটনায় চসিকের ২৭ জন সাধারণ ও একজন সংরক্ষিত কাউন্সিলরকে আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করা হয়েছে।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গত ৫ আগস্ট থেকে এখনো অনেক কাউন্সিলর কার্যালয়ে অনুপস্থিত। অনুপস্থিত কাউন্সিলরের বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে।