গত এক সপ্তাহে ৫০ কেজির বস্তায় প্রকার ভেদে ৭০ থেকে ১২০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি পাইকারিতে বেড়েছে তিন থেকে চার টাকা। খুচরা বাজারে বেড়েছে পাঁচ থেকে সাত টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দক্ষিণাঞ্চলে বিশেষ করে ফেনী ও কুমিল্লায় বন্যা হওয়ায় ২ লাখ মেট্রিক টনের বেশি চাল নষ্ট হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের বন্যার প্রভাব উত্তরাঞ্চলের চালের বাজারে পড়েছে বলে জানান তারা। নগরীর মাহিগঞ্জ এলাকার চালের আড়তদার মাসুম হোসেন বলেন, চালের সবচেয়ে বড় মোকাম ঢাকার বাবুবাজার, কুমিল্লা ও ফেনীতে। বন্যায় কুমিল্লা ও ফেনীর ২ লাখ মেট্রিক টন চাল নষ্ট হয়েছে। এ ছাড়া বাজারে ধানের সরবরাহ কমে যাওয়ায় চালের দাম বাড়ছে।
রংপুরের মাহিগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্ন চালের বাজারের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েকদিন আগেও মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছিল ৬০ থেকে ৬৪ টাকা কেজি দরে। বর্তমানে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকার ওপর। কেজিতে বেড়েছে পাঁচ থেকে সাত টাকা। চিকন চালের দামও কেজিতে চার-পাঁচ টাকা বেড়ে ৭৫-৭৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৪৪-৪৫ টাকার মোটা চাল পাইকারি ৪৭ থেকে ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে মোটা চাল যেটি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকার ওপরে কেজি। মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৬ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত। মাঝারি মানের চালের দামও বেড়েছে কেজিতে ৫-৬ টাকা।
রংপুর চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, বাজারের ধানের সরবরাহ একেবারে কমে গেছে। দক্ষিণাঞ্চলের বন্যার প্রভাব পড়েছে উত্তরাঞ্চলের চালের বাজারে। এ ছাড়া অটোরাইসমিল মালিকরা আগে থেকে ধানের মজুদ গড়ে তুলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন।