ভারতে নিহত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসহাক আলী খান পান্নার লাশ গতকাল ঢাকার বনানী কবরস্থানে বাদ এশা দাফন করা হয়েছে। ডিএমপির বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল সরোয়ার এ তথ্য জানান।
এর আগে পান্নার লাশ সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে হস্তান্তর করে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পুলিশ। গতকাল দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে পান্নার লাশ বাংলাদেশে আসে। প্রক্রিয়া শেষে লাশটি গ্রহণ করেন তার ভাতিজা কামরুজ্জামান খান নাবিল। লাশ হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) রফিকুল ইসলাম, গোয়াইনঘাট থানার ওসি শাহ হারুন অর রশীদ, তামাবিল ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম ও বিজিবির আইসিপি পোস্ট কমান্ডার হাবিলদার সুরচন্দ্র।
সূত্র জানায়, গত ২৪ আগস্ট রাতে কানাইঘাটের দনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেন ইসহাক আলী খান পান্না। ২৬ আগস্ট ভারতে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে মেঘালয় রাজ্যের উমকিয়াং থানা পুলিশ। তার মৃত্যু নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে রহস্য। কিছু সূত্র বলছে, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং যাওয়ার পথে পাহাড় থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়। আবার কোনো কোনো সূত্র বলছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে জানা গেছে, পান্নার মৃতদেহের সঙ্গে পাওয়া পাসপোর্ট থেকে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে শ্বাসরোধের কথা বলা হয়েছে। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। কপালে আঘাতের চিহ্নের কথাও বলা হয়েছে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে।